১৩৯ করে দিন শেষে অপরাজিত আছেন উইলিয়ামসন। আর ৯০ রানে অপরাজিত থেকে জাদুকরি তিন সংখ্যার অপেক্ষায় আছেন নিকোলস।
কী অবিশ্বাস্য! দলীয় ৬০ রান তুলতেই টপ অর্ডাররের ৪ ব্যাটসম্যান হারিয়েছিলো যে দলটি সেই দলটিই কী পরাজয়ের কালো মেঘ সরিয়ে দিয়ে এখন স্বাগতিকদের পাল্টা চোখ রাঙাচ্ছে? সেটা অবশ্য সম্ভব হতো না যদি না উইলিয়ামসন ও নিকোলস ২১২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি না গড়তেন।
বৃহস্পতিবার (৬ ডিসেম্বর) চতুর্থ দিন শেষে ১৯৮ রানে এগিয়ে নিউজিল্যান্ড ।
অথচ দিনের শুরুটা ছিল পাক লেগি ইয়াসির শাহর ইতিহাস রচনা দিয়ে। ১৯৩৬ সালে জোহানেসবার্গে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ৩৬ টেস্টে ২০০ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড গড়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার লেগস্পিনার ক্ল্যারি গ্রিমেট। ৮২ বছর বয়সী সেই রেকর্ড বৃহস্পতিবার আবু ধাবিতে ভাঙলেন আর এক লেগস্পিনার। পাকিস্তানের ইয়াসির শাহ ৩৩ টেস্টে পৌঁছে গেলেন ২০০ উইকেটে।
কিউই নৈশপ্রহরী উইল সমারভিলকে এলবিডব্লিউ করে দ্রুততম বোলার হিসেবে ২০০ টেস্ট উইকেটে পৌঁছান ইয়াসির। চলতি সিরিজে তিন টেস্টের ছয় ইনিংসে এখনও পর্যন্ত ২৭ উইকেট নিয়েছেন তিনি।
পাঁচে নামা রস টেইলর চেষ্টা করেছিলেন পাল্টা আক্রমণের। কিন্তু পারেননি। ১৪ বলে ২২ রান করে ফিরে গেছেন শাহিন শাহ আফ্রিদির শিকার হয়ে।
কিউইরা তখনও পাকিস্তানের প্রথম ইনিংসের চেয়ে পেছনে ১৪ রানে, হাতে ৬ উইকেট। উইলিয়ামসন ও নিকোলসের কল্যাণে দিন শেষেও সেই ৬টিই উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
নিউজিল্যান্ড ১ম ইনিংস: ২৭৪
পাকিস্তান ১ম ইনিংস: ৩৪৮
নিউজিল্যান্ড ২য় ইনিংস: ১০৪ ওভারে ২৭২/৪ (আগের দিন ২৬/২) (উইলিয়ামসন ১৩৯*, সামারভিল ৪, টেইলর ২২, নিকোলস ৯০*; হাসান ০/৩৭, শাহিন শাহ ২/৫৫, ইয়াসির ২/১০৭, বিলাল ০/৬২, আজহার ০/২, হাফিজ ০/৩)।
বাংলাদেশ সময়: ০০২০ ঘণ্টা, ০৭ ডিসেম্বর, ২০১৮
এইচএল/এমএমএস