সেজন্য মঙ্গলবার হোম অব ক্রিকেটে ম্যাচটি দেখতে আসা ক্রিকেটপ্রেমীদের হাতে হাতে ছিল তাকে ভালোবাসা জানিয়ে লেখা নানা প্ল্যাকার্ড-পোস্টার। ‘শেরেবাংলায়’ টাইগার অধিনায়কের ‘শেষ ম্যাচ’ ভেবে কেউ কেউ কেঁদে ফেলেছেনও।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে সেই প্ল্যাকার্ড-পোস্টার বা বড় স্ক্রিনে দেখা ভালোবাসার দৃশ্যগুলো চোখ এড়ায়নি বলে জানালেন ‘তিনি’। মাশরাফি বিন মর্তুজা জানালেন, গ্যালারিতে ভক্তদের কান্নার খবর ছুঁয়ে গেছে তার হৃদয়ও। নিজেও হয়েছেন আবেগতাড়িত।
‘খুবই স্বাভাবিক, আমরাতো এমনিতেও একটু আবেগী। অবশ্যই এই জিনিসগুলো (দর্শকদের কান্না) আমার হৃদয় ছুঁয়ে যায়। দেখলে আমারও খারাপ লাগবে, এটাই স্বাভাবিক। আমার সামনে ঘটলে খারাপ লাগতো যে ওরা কান্নাকাটি করছে। ’
সামনের বছর অর্থাৎ ২০১৯ সালে ইংল্যান্ডে বিশ্বকাপ খেলে অবসরে যাবেন, এমন ঘোষণা যদিও এখনো দেননি বাংলাদেশ ক্রিকেটের দিনবদলের এই অধিপতি। তবে নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রেক্ষাপটে রাজনীতিতে পুরো সক্রিয় হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আর তার মুখের কথায় যে আভাস মিলছে, তাতে বিশ্বকাপের পর ক্রিকেট চালিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশ ক্ষীণই বোঝা যায়।
‘আমি আগেও অনেকবার বলেছি আমি কখনোই আগে সিদ্ধান্ত নিয়ে কিছু করি না। এমনও হতে পারে পরের ম্যাচ বা তার পরের মাচ খেলে যদি দেখি ভাল লাগছে না, ছেড়ে দিতে পারি। আমি তাৎক্ষণিক অনুভূতির উপর চলি এবং সব সিদ্ধান্ত নেই। ওইভাবে চিন্তা করি না। এটাতে ভাললাগা যেমন থাকে, খারাপ লাগাও থাকে। আমার তরফ থেকে তাদের জন্যও খারাপ লাগে। এটা একটা প্রক্রিয়া। একদিন না একদিন যেতে হবে, এটা খুব স্বাভাবিক। ’
২০০৯ সালে ইনজুরিতে পড়ে মাশরাফি টেস্ট ছেড়েছেন কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ছাড়াই। টি-টোয়েন্টিকে বিদায় বলেছেন গত বছরের মার্চে, ফর্মের তুঙ্গে থাকা অবস্থায়। ওয়ানডে ক্রিকেটও হয়তো সেভাবেই ছাড়বেন বলে আভাস মাশরাফির, ‘বছরখানেক হয়েছে টি-টোয়েন্টি থেকে চলে গেছি। আর কিছুদিন হয়তো ওয়ানডে খেলবো। কিন্তু মিরপুরে শেষ ম্যাচ কি-না বলা খুব কঠিন। ’
বাংলাদেশ ক্রিকেটকে বদলে দেওয়া মাশরাফি হয়তো হঠাৎ একদিন ‘বিদায়’ বলে দেবেন। তখন কী করবেন ভক্তরা? সেই বিষাদে মন খারাপ না করে আপাতত মাশরাফির মুখের কথাই মন ভালো করুক না। তিনি যে বলেছেন- ‘আর কিছুদিন হয়তো ওয়ানডে খেলবো’।
বাংলাদেশ সময়: ০১২৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৮
এইচএল/এইচএ/