ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

‘উই উইল মিস ইউ মাশরাফি’

মহিবুর রহমান, স্পেশাল করেসপনডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৪৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৮
‘উই উইল মিস ইউ মাশরাফি’ ছবি: শোয়েব মিথুন/বাংলানিউজ

সিলেট থেকে: দেশের ক্রিকেটে গুঞ্জন ২০১৯ বিশ্বকাপের পর তাকে আর দেখা যাবে না বাংলাদেশ ক্রিকেটে। প্রতিপক্ষের সাজানো ব্যাটিং লাইন আপ তাসের ঘরের মতো গুঁড়িয়ে দিতে আর  বল হাতে গর্জে উঠবেন না। তাকে ঘিরে জ্বলে উঠবে না টিভি ক্যামেরার লাইট, ক্লিক ক্লিক শব্দে মুখরিত হবে না স্থির ফটোগ্রাফারদের ক্যামেরা। তিনি আর কেউ নয় বাংলাদেশ ক্রিকেটের স্বর্ণ যুগের কান্ডারি মাশরাফি বিন মর্তুজা।

যদিও মাশরাফি নিজে একথা কখনোই স্পষ্ট করে বলেননি। তবে প্রচ্ছন্ন একটি ইঙ্গিত তিনি দিয়ে রেখেছেন।

বিভিন্ন সময়ে বিসিবি সভাপতির ভাষ্যেও তা জানা গেছে। সেই শঙ্কা থেকেই তার ভক্তদের এমন আকুতি। ব্যানার হাতে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তারা হাজির হয়েছেন। যেখানে লেখা, ‘বেস্ট ক্যাপ্টেন ইন দ্য ওয়ার্ল্ড। উই গনা মিস মাশরাফি। ’

যেহেতু মাশরাফি নিজে স্পষ্ট করে বলেননি তাই উৎসুক মন জানতে চায়, কেন মাশরাফিকে মিস করবেন?  দারুণ সপ্রতিভ জবাবে একজন জানালেন, ‘উনি বলছে খেলা বাদ দিয়ে দিতে পারে সেজন্য লিখেছি  ‘উই গনা মিস ইউ। উনি অন্য রকম একটা অনুভুতি। বাংলাদেশে এই রকম আর কোনো প্লেয়ারকে দেখি না। আমার মনে হয় না কেউ আছে। ’

ছবি: শোয়েব মিথুন/বাংলানিউজ

তার মুখ থেকে কথা কেড়ে নিয়ে আরেকজন তাকে মডেল বলে আখ্যা দিয়ে বলেন, ‘মাশরাফিকে ক্রিকেটের একটা মডেল ধরতে পারেন। শুধু দেশেই না বিশ্ব ক্রিকেটের একজন মডেল হচ্ছেন মাশরাফি। খেলায় ওর যে স্টাইল সেটা অন্য কারো মধ্যে খুঁজে পাবেন না। সেজন্যই সে মডেল। ’

২০১৪ সালটি বাংলাদেশের জন্য ঘোর অমানিশায় ভরা ছিল। কোনভাবেই আলোর দেখা মিলছিলো না। প্রতিপক্ষের বিপক্ষে জয় হয়ে দাঁড়িয়েছিলো সোনার হরিণ। বছরের প্রথম ১৩টি ওয়ানডের একটিতেও জয়ের দেখা মেলেনি। হেভিওয়েট পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের পর হেরে যায় ওই সময়ের ‘পুঁচকে’ আফগানদের কাছেও।

ছবি: শোয়েব মিথুন/বাংলানিউজ

হারের অমানিশা কাটিয়ে উঠতে মুশফিককে সরিয়ে তৃতীয়বারের মত অধিনায়কত্ব দেয়া হয় মাশরাফি কাঁধে। তার নেতৃত্বের প্রত্যাবর্তণে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। ওই বছরের নভেম্বরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তার নেতৃত্বে সেই অমানিশাও কাটে।  

২০১৫ বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল এবং সেই ধারাবাহিকতা ধরে রেখে ঘরের মাঠে প্রবল শক্তিধর ভারত, পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে এশিয়ার ক্রিকেটের পরাশক্তি হিসেবে নিজেদের জানান দেয় লাল-সবুজের দল।  

তাদের কণ্ঠেও সেই কথাই ঝড়লো। একজন বলেন, ‘উনি অধিনায়ক হওয়ার পর আমাদের খেলা পুরো বদলে গেছে। আপনি বলতে পারেন এখন আমরা এশিয়ার দ্বিতীয় সেরা দল। ইন্ডিয়া প্রথম। এমনকি এখন আমরা বাইরের দেশেও ভাল করছি। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ওদের মাঠে হারিয়েছি। মাশরাফি বেস্ট। ’

বাংলাদেশ সময়ঃ ১৭৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৮ 
এইচএল/এমকেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।