এমতাবস্থায় স্টিভ রোডস শিষ্যদের সামনে করণীয় বলতে একটিই। আর সেটা হলো ম্যাচটিতে ঘুরে দাঁড়ানো।
‘একটা ম্যাচ পিছিয়ে আছি আমরা। চেস্টা করবো পরের ম্যাচ থেকে প্রবল বিক্রমে ঘুরে দাঁড়াতে। ’আর এই ক্ষেত্রে তিনি এবং তার সতীর্থরা অনুপ্রেরণা খুঁজছেন গেল জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ থেকে। সেখানেও সিরিজের প্রথম টি-টোয়ন্টিতে স্বাগতিকদের টাইফুন ব্যাটে উড়ে গিয়েছিলো সফরকারী বাংলাদেশ। সেইন্ট কিটসে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা টাইগারদের সাকুল্যে সংগ্রহ ছিলো ১৪৩ রান। ম্যাচে বৃষ্টি হানা দিলে ডাক ওয়ার্থ লুইস পদদ্ধতিতে স্বাগতিকদের জন্য লক্ষ্য নির্ধারিত হয় ৯৩ রান। যা ৩ উইকেটের খরচায় ছুঁয়ে ফেলে কার্লোস ব্র্যাথওয়েট ও তার দল।
দারুণ হতাশায় ভরা সেই হারের গ্লানি কাটিয়ে উঠতে অবশ্য সময় নেয়নি সাকিববাহিনী। ফ্লোরিডায় দ্বিতীয় ম্যাচ দিয়েই অদম্য সাহসিকতায় ঘুরে দাঁড়িয়েছিলো। একই ভেন্যুতেই তৃতীয় ম্যাচটিতে নিজেদের করে নিয়ে দেশের বাইরে প্রথম টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের গর্বিত সাফল্য নিয়ে দেশে ফেরে লাল সবুজের দল।
ছয় মাসের ব্যবধানে সেই দলটির সঙ্গেই একই অবস্থার মুখোমুখি স্বাগতিক শিবির। সোমবার (১৭ ডিসেম্বর) সিলেটে শাই হোপের ব্যাটে হেরে গেছে সাকিবরা। সিরিজে ফিরতে দ্বিতীয় ম্যাচে জয়ের কোনো বিকল্প নেই। আর টেস্ট ও ওয়ানেডতে দাপুটে জয়ের পর টি-টোয়েন্টিতেও সিরিজ জয়ে তৃতীয় ম্যাচটি যে কোনো মূল্যে নিজেদের করে নিতে হবে। এমন সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়ে জয়ের ধারায় ফেরার সেই কাজটি করতে তারা প্রেরণা নিচ্ছেন ফ্লোরিডায় পাওয়া সেই দুই জয় থেকে। ‘শেষ সিরিজেও ওয়েস্ট ইন্ডিজে গিয়ে প্রথম ম্যাচটা হারা ছিলাম। পরবর্তী দুটো ম্যাচে ভালভাবে ফিরেছি। ’
প্রথম ম্যাচটি যারা দেখেছেন তারা নিশ্চয়ই খেয়াল করেছেন ব্যাটিংয়ে নেমে কতটা অপরিকল্পিত ব্যাটিংই না করেছে বাংলাদেশ! পেসারদের শর্ট বলে ডাউন দ্য উইকেটে এসে পুল করতে এসে ৩১ রানেই ফিরে গেছেন তিন টপ অর্ডার তামিম ইকবাল, লিটন দাশ ও সৌম্য সরকার। যা স্বাগতিকদের ইনিংসে দিয়েছে প্রবল ধাক্বা। সেই ধাক্কা আর সামলে উঠতে পারেনি মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানরা। তাতে করে ১২৯ রানে গুটিয়েছে সাকিবদের ইনিংস। ১৩০ রানের মামুলি লক্ষ্য অতিথিরা টপকে গেছে গেছে হেসে খেলে।
কাজেই সিরিজে ফেরার ম্যাচে সেই ভুলের পুনরাবৃত্তি চাইছেন না সৌম্য। ‘প্রথম ম্যাচে যে ভুলগুলো করেছি বা শুরুতেই কিছু উইকেট চলে গিয়েছিলো ওইটা যেন না হয়। ওইটা কাটিয়ে উঠতে পারলে শেষের দিকে ভাল হবে। ’ক্যারিবিয়ানরাও যে হাত, পা গুটিয়ে বসে থাকবে না। প্রথম ম্যাচে যে দাপট তারা দেখিয়েছে সন্দেহতীতভাবেই সেই দাপট তারা দ্বিতীয় ম্যাচেও অব্যাহত রাখতে চাইবে। তাতে করে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত হবে।
বৃহস্পতিবার (২০ ডিসেম্বর) মিরপুর শের ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টায়।
বাংলাদেশ একাদশ (সম্ভাব্য): তামিম ইকবাল, লিটন দাস, সৌম্য সরকার, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), মাহমুদউল্লাহ, আরিফুল হক, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, মেহেদি হাসান, রুবেল হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ একাদশ (সম্ভাব্য): এভিন লুইস, শাই হোপ (উইকেটরক্ষক), নিকোলাস পুরান, ড্যারেন ব্রাভো, শিমরন হেটমায়ার, রোভম্যান পাওয়েল, কার্লোস ব্র্যাথওয়েট (অধিনায়ক), কেমো পল, ফ্যাবিয়ান অ্যালেন, ওশানে টমাস, শেলডন কোটরেল।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৯ ঘণ্টা, ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৮
এইচএল/এমএমএস