গেলো সপ্তাহে সাংবাদিকদের সামনে স্মিথ বলেন, ‘আমি ব্যাপারটা দেখেছি এবং বুঝেছিলামও যে কি হতে যাচ্ছে। আমার ভুল ছিলো যে আমি তা দেখেও তাদের থামাইনি।
আরেক অপরাধী বেনক্রাফট নিজেকে বাঁচিয়ে সরাসরি ওয়ার্নারের দিকে আঙুল তুলে বলেন, ‘ডেভ (ওয়ার্নার) আমাকে বল টেম্পারিং করতে পরামর্শ দিয়েছিল। আমি তখন এ নিয়ে বেশি কিছু জানতাম না। অতোটা ভাবিওনি। ’
একই সঙ্গে তিনজন শাস্তি পেলেও দুজনই আঙুল তুলেছেন ওয়ার্নারের দিকে। স্মিথ সরাসরি না হলেও নিজের দোষ স্বীকার করেননি। আর এতদিন পর এসব বলাতেই ক্ষেপে গেছেন স্লাটার। অজি এই সাবেক তারকা মনে করেন, বেনক্রফট আ স্মিথের এমন স্বীকারোক্তিতে ওয়ার্নারের সঙ্গে সম্পর্কে বড় রকমের ফাটল ধরবে।
স্লাটার বলেন, ‘আমার মনে হয় না এই সাক্ষাৎকারের পর ওদের (ওয়ার্নার আর ব্যানক্রফট) মধ্যকার সম্পর্কের উন্নতি ঘটবে। তারা এত দিন চাচ্ছিল নিজেদের পরিস্থিতির শিকার হিসেবে মানুষের কাছে প্রমাণ করতে, নিজেদের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে, কিন্তু এখন ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার এই দৌড়ে এখন তারা একে অপরকে দোষারোপ করা শুরু করেছে। ’
এতদিন পর এসব কথা বলে কোনো লাভ নেই, এমনটাই মনে করেন স্লাটার। বলেন, ‘এখন নতুন করে অন্য কথা বলে তো লাভ নেই কোনো। যখন তদন্ত হলো তারা বলল তারা সবাই এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত, আর এত দিন পর এখন এসে তারা দোষারোপ করছে অন্যদের (ওয়ার্নার)। তোমার যদি এটাই বলার থাকত তাহলে তখনই বলতে, এখন বলতে এসেছ কেন? এখন এসব বলে তো কোনো লাভ নেই!’
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) পরিকল্পনায় নিষেধাজ্ঞা শেষেই দলে ফিরবে ওয়ার্নার ও স্মিথ। কিন্তু বেনক্রফট ও স্মিথের স্বীকারোক্তি ওয়ার্নারের দলে ফেরার সামনে বড় বাধা হবে বলে মনে করেন স্লাটার, যা দলের জন্য ক্ষতি ছাড়া আর কিছুই না।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৮
এমকেএম