অস্ট্রেলিয়ার সংবাদ মাধ্যম সিডনি মর্নিং হেরাল্ডের এক নিবন্ধে এমনটাই দাবী করা হয়েছে। দুই অজি ক্রিকেট তারকা স্টিভেন স্মিথ ও ডেভিড ওয়ার্নারকে অন্যতম উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে ওই নিবন্ধে।
গত শনিবার (৫ জানুয়ারি) মাঠে গড়িয়েছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ষষ্ঠ আসর। মূলত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে অক্টোবর থেকে পিছিয়ে জানুয়ারিতে আয়োজন করায় এই প্রথমবারের মতো একইসময়ে আয়োজিত হচ্ছে দুই জনপ্রিয় ক্রিকেট আসর।
কেপটাউন টেস্টে বল টেম্পারিং কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে ১২ মাসের নিষেধাজ্ঞা থাকায় বিগ ব্যাশে খেলতে পারছেন না সাবেক অজি অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ ও তার সাবেক ডেপুটি ডেভিড ওয়ার্নার। শুধু এই দুজন নয়, বিশ্ব ক্রিকেটের আরও অনেক বড় বড় নাম এবার বিপিএলে মাঠ মাতাতে হাজির হয়েছেন।
প্রথমবারের মতো বিপিএল খেলতে আসছেন সাবেক প্রোটিয়া অধিনায়ক ও বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান এবি ডি ভিলিয়ার্স। এছাড়া বিগ ব্যাশের বড় আকর্ষণ ক্রিস গেইল, অ্যালেক্স হেলস, কাইরন পোলার্ড, আন্দ্রে রাসেল, ইয়াসির শাহ ও কার্লোস ব্র্যাথওয়েটের মতো টি-টোয়েন্টি স্পেশালিস্টরাও এবার বিপিএলকে প্রাধান্য দিয়েছেন।
বিগ ব্যাশের দল মেলবোর্ন স্টার্সের নেপালিজ স্পিনার সন্দ্বীপ লামিচানেও এবার বিপিএলকেই বেছে নিয়েছেন। তাকে এবারের বিগ ব্যাশ আসরে খেলতে দেখা গেছে।
তবে বিগ ব্যাশ কর্তাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ কিছুটা কমিয়েছেন আফগান স্পিনার রশিদ খান। অ্যাডিলেডের হয়ে খেলছেন এই বিশ্বসেরা লেগ স্পিনার। আরেক আফগান তারকা মোহাম্মদ নবী খেলছেন মেলবোর্ন রেনেগেডসের হয়ে। এছাড়া ইংলিশ অধিনায়ক জো রুট ও তার স্বদেশী জস বাটলার খেলছেন সিডনি থান্ডারের হয়ে।
বিগ ব্যাশ লিগের (বিবিএল) তারকা সংকটের জন্য ভারতের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার চলমান সিরিজকেও দায়ী করা যায়। অজি জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের প্রায় সবাই এবার বিগ ব্যাশে অনুপস্থিত। তবে ডা’র্সি শর্ট ও ক্রিস লিনের মতো তারকারা সেই আক্ষেপ কিছুটা ঘোচাতে সক্ষম হয়েছেন।
এদিকে তারকা সংকটের কারণে মাঠে দর্শক খরার মুখোমুখি হয়েছে বিগ ব্যাশ। এবারের আসরে দর্শক উপস্থিতির হার গড়ে ২১ হাজার, যেখানে গত আসরে প্রতি ম্যাচে প্রায় ৩২ হাজার দর্শক হাজির হতেন।
বিগ ব্যাশের জৌলুস কমার আরেকটা কারণ হতে পারে টুর্নামেন্টের দৈর্ঘ্য। এবারের বিগ ব্যাশ চলবে প্রায় দুই মাস ধরে। অন্যদিকে বিপিএল শেষ হবে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি, অর্থাৎ বিগ ব্যাশ শেষ হওয়ার এক সপ্তাহেরও আগে বিপিএলের পর্দা নামবে। ফলে খেলোয়াড়রা অল্প সময়েই বেশি টাকা পকেটে পুরে ঘরে ফিরতে পারবে।
বিপিএলে প্রতি দলের স্কোয়াডে ৯জন বিদেশি রাখার সুযোগ আছে, যেখানে বিগ ব্যাশে এই সংখ্যাটি মাত্র ২। এছাড়া একাদশে ৪জন বিদেশি রাখার নিয়ম থাকায় বিপিএলে তারকাদের উপস্থিতি বেশি।
বিগ ব্যাশ ও বিপিএলে বিশ্ব তারকাদের অন্তর্ভুক্তির তুলনামূলক চিত্র
বিগ ব্যাশ: জস বাটলার, জো রুট, ব্র্যান্ডন ম্যাককালাম, রশিদ খান, জোফ্রা আর্চার, মোহাম্মদ নবী, ডোয়াইন ব্র্যাভো, ডেভিড উইলি, টম কুরান, জো ডেনলি।
বিপিএল: ক্রিস গেইল, অ্যালেক্স হেলস, এবি ডি ভিলিয়ার্স, সুনীল নারাইন, কাইরন পোলার্ড, আন্দ্রে রাসেল, ইয়ান বেল, মোহাম্মদ আসিফ, স্টিভেন স্মিথ, শোয়েব মালিক, শহীদ আফ্রিদি, কার্লোস ব্র্যাথওয়েট, ডেভিড মালান, লাসিথ মালিঙ্গা, ইয়াসির শাহ, মোহাম্মদ হাফিজ, ডেভিড ওয়ার্নার, সন্দ্বীপ লামিচানে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০১৯
এমএইচএম/এমএমএস