বড় হারের জ্বালা নিয়েই বুধবার অনুশীলন করেন কুমিল্লার ক্রিকেটাররা। নিজেদের তৈরি করে ফেরার প্রত্যয়ে অনুশীলন থেকে ছুটি নেননি কেউই।
ম্যাচের রানের ঘাটতি নিয়ে মালিক বলেন, ‘আমার মনে হয় এখনও প্রাথমিক পর্যায়ের খেলা হচ্ছে। সব ব্যাটসম্যানের জন্যই কন্ডিশন অবশ্যই কঠিন। যেহেতু আমরা জানি শিশিরের ব্যাপারটা এখানে আছে। সবকিছুতে পরিবর্তন এসে যায় যখন পিচে শিশির পড়ে। আমার মনে হয় নির্দিষ্ট এই ফরম্যাট মানে টি-টোয়েন্টিতে এই বিষয়গুলো ঘটে। '
'কিন্তু যাই ঘটেছে তা শেষ হয়ে গেছে। যা আসবেই সেটাকে আমরা বদলাতে পারব না। আমরা খুবই ইতিবাচক এবং আমাদের ড্রেসিং রুমে এমন কিছু খেলোয়াড় আছে যারা অবশ্যই চিন্তা করবে যে কি ভুল হচ্ছে এবং আসন্ন খেলাগুলোয় কি করণীয় আছে। ’
‘এমনটা হতেই পারে। আমরা তিন ফরম্যাটের সবগুলোতে অবশ্যই দেখেছি যে শক্তিশালি ব্যাটিং লাইনআপগুলো ৪০/৫০ রানেই থেমে গেছে। তাই এমনটা যেকোনো ক্রিকেটেই হতে পারে। কিন্তু আমি এটা নিয়ে কমই বলতে পারি, সমালোচনা করতে পারি না। '
'টুর্নামেন্টের জন্য খুবই ভালো হয় যদি তারা ভালো পিচ তৈরি করতে পারে। শুধু আমরাই সংগ্রাম করিনি, রংপুর রাইডার্সকে দেখুন, তাদের ব্যাটসম্যানদের স্ট্রাইক রেট দেখুন, ৬০/৬৩ রান তাড়া করতে গিয়ে তাদেরও হিমশিম খেতে হয়েছে। আমি বলতে পারি যে সামান্য কিছু পরিবর্তন তারা আনতে পারে। '
'আমার মনে হয় আবহাওয়াটাই কিউরেটরদের ভালো মানের পিচ তৈরি করার যথেষ্ট সুযোগ দেয় না। কিন্তু তারা যদি ভালো পিচ তৈরি করতে পারতো তাহলে বড় স্কোরের খেলা দেখা যেতো এবং দর্শকরাও উপভোগ করতে পারতো। আর এমনটাই তো পুরো বিশ্বের সবাই দেখতে পছন্দ করে। ’
দলের ব্যর্থতার দায় অনেকটাই পিচের উপর দিলেন পাকিস্তানের এই তারকা অলরাউন্ডার। বলেন, ‘বিষয়টা এমন নয়। পিচগুলো ঠিকই আছে। কিন্তু আপনি শুধু নিজের মতো করে এখানে শট খেলতে পারছেন না। আপনি যদি অনেক ভালোও খেলেন এই ধরনের পিচে, বিশেষ করে ঢাকায় এটা অনেক কঠিন। নিজের দক্ষতা দেখিয়ে তবুও সর্বোচ্চ ১৪০/১৫০ রান করতে পারলেও সেটাকে উন্নতি বলে ধরা যাবে এই পিচগুলোয়। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০১৯
এমকেএম/এমএইচএম