শুক্রবার (২৯ মার্চ) সাভারে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন লিগের সপ্তম রাউন্ডের ম্যাচে শুরুতে ব্যাট করতে নামে আবাহনী। জহুরুলের সেঞ্চুরির উপর ভর করে ৬ উইকেট হারিয়ে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা সংগ্রহ প্রায় ২৮৬ রানের।
ম্যাচটা মূলত মাশরাফির বোলিংয়ের কাছেই হেরেছে আবাহনী। তিন স্পেলে ২টি করে উইকেট নিয়ে মূল আঘাতটা তিনিই হেনেছেন। শেষ পর্যন্ত ১০ ওভার বল করে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ষষ্ঠবারের মতো ৫ উইকেট নেন মাশরাফি।
এছাড়া এ নিয়ে ৪ বার ৬ উইকেট পেলেন মাশরাফির। এর আগে ৩ বার ৬ উইকেট নেওয়ার কীর্তিতে মাশারাফির সঙ্গী ছিলেন রুবেল হোসেন। বাংলাদেশের আর কোনো বোলারের ছয়বার ৬ উইকেট নেওয়ার কীর্তি নেই।
আবাহনীর ছুড়ে দেওয়া লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে স্কোর বোর্ডে কোনো রান যুক্ত না হতেই ওপেনার রনি তালুকদারের উইকেট হারায় গাজী গ্রুপ। তবে ওয়ান ডাউনে নেমে দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন ইমরুল। ১৫টি চার ও ৫টি ছক্কায় সাজানো তার ১২৬ রানের ইনিংসটি। কিন্তু অপর প্রান্ত থেকে কেউই তাকে সঙ্গ দিতে ব্যর্থ হন বাকিরা।
একমাত্র তৌহিদ তারেক (৩৯) অধিনায়ক ইমরুলকে কিছুটা সঙ্গ দেন। শুধু সঙ্গই নয়, শেষদিকে দারুণ কিছু শট খেলে আশাও জাগিয়েছিলেন। মাশরাফির ১ ওভারে মেরেছিলেন ১ চার ও ১ ছক্কা। কিন্তু নিজের শেষ ওভারে তাকে বোল্ড করে নিজের পঞ্চম উইকেট তুলে নেন ‘নড়াইল এক্সপ্রেস’। একই ওভারে নিজের ষষ্ঠ উইকেটও তুলে নেন তিনি।
এর আগে ব্যাট হাতে ওপেনার জহুরুল ইসলামের সেঞ্চুরির ইনিংসেই বড় সংগ্রহ পায় আবাহনী। তার ১৩৮ বলে ১৩০ রানের ইনিংসটি শেষ হয় একদম ইনিংস শেষ হওয়ার ২ বল আগে। আউট হওয়ার আগে ১৪টি চার ও ২টি ছক্কা হাঁকান তিনি।
আবাহনীর ইনিংসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান আসে অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেনের ব্যাট থেকে। পাঁচ নম্বরে নেমে ৭১ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। ৭৬ বল স্থায়ী ইনিংসটি ৮টি চারে সাজানো। এছাড়া বলার মতো রান এসেছে শুধু সৌম্য সরকারের (২৯) ব্যাট থেকে।
বল হাতে গাজী গ্রুপের কামরুল ইসলাম রাব্বি ও নাসুম আহমেদ নিয়েছেন ২টি করে উইকেট। ১টি করে নিয়েছেন আবু হায়দার ও পারভেজ রসুল।
৭ ম্যাচে ষষ্ঠ জয় নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে রইলো আবাহনী। আর ৭ ম্যাচে ২ জয় নিয়ে নবম স্থানে গাজী গ্রুপ।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৯ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০১৯
এমএইচএম