ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

ভারতীয় দলের বিপক্ষে মুমিনুলদের ১০ উইকেটের জয়

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩২০ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১৯
ভারতীয় দলের বিপক্ষে মুমিনুলদের ১০ উইকেটের জয় ছবি:সংগৃহীত

ভারতের মাটিতে ব্যাটে-বলে দাপট দেখিয়ে মাত্র তিন দিনেই ১০ উইকেটের বিশাল জয় তুলে নিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড একাদশ। মিনি রঞ্জি ট্রফিতে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে ভারতের দল কর্নাটক স্টেট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের বিপক্ষে তৃতীয় দিন সাদমান শাদমান ইসলাম ও জহুরুল ইসলামের অপরাজিত ব্যাটিংয়ে এই জয় পায় বাংলাদেশের দলটি।

রান পাহাড়ের নিচে চাপা পড়া কর্নাটক নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৩ উইকেট হারিয়ে ১০০ রান করে দ্বিতীয় দিন শেষ করে। বিসিবির চেয়ে ১৫৫ রানে পিছিয়ে ছিল দলটি।

আগের দিনের অপরাজিত ব্যাটসম্যান অভিনব মনোহারের ১১৭ রানে ভর করে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৪০ রান করতে পারে অবশ্য কর্নাটক। তবে প্রথম ইনিংসের বাজে ফলাফলই তাদের হারিয়ে দেয়। যেখানে মুমিনুল হকদের মাত্র ৮৬ রানের টার্গেট দিতে পারে দলটি।

বাংলাদেশি পেসার এবাদত হোসেন তিনটি ও মুমিনুল দুটি উইকেট দখল করেন।

জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শাদমানের ৫২ ও জহুরুলের ৩২ রানে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বিসিবি একাদশ।

এর আগে কর্নাটকের বিপক্ষে টসে হেরে ফিল্ডিংয়ে নামে মুমিনুলরা। এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে সোমবার (২৩ জুলাই) থেকে শুরু হওয়া চারদিনের টেস্টের প্রথম দিন বিসিবি মাত্র ৭৯ রানে গুটিয়ে দেয় কর্নাটককে। এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে ৩ উইকেটে ১৩৫ রান নিয়ে দিন শেষ করে বাংলাদেশের দলটি।  

ম্যাচের দ্বিতীয় দিনে বিসিবি’র সেই রান গিয়ে দাঁড়ায় ১০ উইকেটে ৩৩৪। বাংলাদেশ লিড পায় ২৫৫ রানের।  

আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান জহুরুল হক ও নাজমুল হোসেন শান্ত দ্বিতীয় দিন শুরু করেন। তবে আগের দিনের সঞ্চয় ২৮ রান নিয়েই ফিরে যান জহুরুল। তবে অন্য প্রান্তে দাঁড়িয়ে রানের চাকা সচল রাখেন শান্ত।  

দলীয় ১৮৭ রানে ফিরেন ইয়াসির আলি চৌধূরি (১৬)। শান্ত ৭২ রান করে শিকার হোন রান আউটের। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ১১ চারে। এরপরে রান বাড়ানোর দায়িত্বটা বুঝে নেন কাজী নুরুল হোসেন।  

আরিফুল হকের (১) বিদায়ের পর সানজামুল ইসলামের সঙ্গে ৭৭ রানের জুটি গড়েন তিনি। দলীয় ২৯৮ রানে আউট হোন নুরুল হোসেন। তার ৮৭ বলের ৬৮ রানের ইনিংসে ১৩ চারের পাশাপাশি হাঁকিয়েছেন ১ ছক্কা। শেষ দিকে ঝড়ো ইনিংস খেলেন শহিদূল ইসলাম (২৪) ইসলাম। শেষ উইকেট হিসেবে আউট হোন সানজামুল (৩৩)। ৫ রানে অপরাজিত থাকেন এবাদত হোসেন।  

কর্নাটকের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়েছেন আনন্দ দদ্দামানি। কে এস দেভিয়াহ ও প্রাভিন দুভে’র শিকার করেছেন ২টি উইকেট।  

কর্নাটকের দ্বিতীয় ইনিংসের ওপর সারির তিন উইকেটের দু’টি নিয়েছেন এবাদত। বাকিটি ঝুলিতে পুরছেন শহিদুল।  

এর আগে টুর্নামেন্টের দু’টি ম্যাচ ড্র করেছে বিসিবি একাদশ।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৬ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১৯
এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।