রোববার (০৪ আগস্ট) বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের এক মিটিং শেষে সংবাদ মাধ্যমকে এসব তথ্য জানান বিসিবি পরিচালক মাহবুব আনাম। এসব বিষয়ে আলোচনার জন্য ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বিপিএলে বর্তমান ফ্রাঞ্চাইজিগুলোর কাছে চিঠি পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের মিটিংয়ে যেসব বিষয় আলোচনা করা হয়েছে এবং সেই ভিত্তিতে যেসব পরিবর্তন আনা হচ্ছে সেগুলো হলো-
- এর আগে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এবং সাতটি বিপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকপক্ষের মধ্যে ষষ্ঠ আসর পর্যন্ত চুক্তি করা হয়েছিল। সে অনুসারে আসন্ন আসর থেকেই সেই চুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে।
- ২০১৯ সালের শুরুতে বিপিএলের ষষ্ঠ আসরের পর্দা নামার পর টুর্নামেন্টের প্রথম চক্র শেষ হয়েছে। এখন ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে নতুন চুক্তির আওতায় আসতে হবে।
- বিপিএল ধারা ৩.১ অনুযায়ী চুক্তি নবায়নের এবং পারস্পরিক সমঝোতা ও শর্ত নিয়ে আলোচনার জন্য ষষ্ঠ আসর পর্যন্ত অংশগ্রহণ করা দলগুলোকে আমন্ত্রণ জানাবে বিপিএল গভর্নিং বডি।
- নতুন নিয়মগুলো সপ্তম আসর থেকে শুরু হয়ে চার মৌসুম পর্যন্ত স্থায়ী হবে। অর্থাৎ ১০ম আসরে গিয়ে শেষ হবে দ্বিতীয় চক্র।
- আসন্ন আসর থেকে অংশ নিতে আগ্রহী নতুন দুই ফ্র্যাঞ্চাইজির জন্য বিজ্ঞাপন প্রকাশ করেছে বিসিবি। এর আগে ‘চিটাগং ভাইকিংস’ অংশ নিতে অনাগ্রহের কথা জানিয়ে দিয়েছিল। বিসিবি এখন সেই শূন্যস্থান পূরণ করার পাশাপাশি আরও একটি নতুন দল চাইছে।
- নতুন করে সব শুরুর কারণে প্লেয়ার ড্রাফট/নিলাম শুরু হবে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন করার পর।
- বিপিএলের সপ্তম আসরের জন্য তালিকাভুক্ত দেশি ও বিদেশি খেলোয়াড়দের জন্য উন্মুক্ত প্লেয়ার ড্রাফট অনুষ্ঠিত হবে।
- অষ্টম আসর থেকে খেলোয়াড় ধরে রাখার নিয়ম কার্যকর হবে। অর্থাৎ, বর্তমানে যেসব খেলোয়াড় ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ, সেগুলো বাতিল হয়ে যাচ্ছে। সবকিছুই আবার নতুন করে শুরু করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০১ ঘণ্টা, আগস্ট ০৪, ২০১৯
এমএইচএম