২০১৭ সালের আগস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার মূল কোচের দায়িত্ব পান সাবেক ক্যারিবীয় ফাস্ট বোলার ওটিস গিবসন। দুই বছরের চুক্তিতে যোগ দিয়ে তার সাফল্য বলতে ঘরের মাটিতে ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ জয়।
বিদেশের মাটিতে গিবসনের অধীনে শ্রীলঙ্কা ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জিতলেও ঘরের মাটিতে অজিদের কাছে আর বিদেশের মাটিতে শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপর বিশ্বকাপেও বাজে পারফরম্যান্স মিলিয়ে তার বিদায় অনেকটা অনুমিতই ছিল।
গিবসন ছাড়াও দক্ষিণ আফ্রিকা দলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হচ্ছে দলের চিকিৎসক ও সহযোগী টিম ম্যানেজার মোহাম্মদ মোসাজিরও। ২০০৮ সালে নিয়োগ পাওয়া মোসাজি এরইমধ্যে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে চুক্তি শেষ হওয়ার পর আর থাকতে চান না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। এছাড়া অন্যান্য কোচিং স্টাফকেও বিদায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
গিবসন ও মোসাজির বিকল্প না পাওয়া পর্যন্ত পুরো দলের দায়িত্ব সামলাবেন টিম ম্যানেজার। এমনকি দলের সব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার একক ক্ষমতাও এখন তার হাতে। কোচিং স্টাফ নিয়োগ দেওয়া, অধিনায়ক খুঁজে বের করা এবং দলের অন্যান্য সব দায়িত্ব এখন তিনি একাই সামলাবেন।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট বোর্ড জানিয়েছে, এখন থেকে টিম ম্যানেজার পুরো দলের দায়িত্বে থাকবেন। তার সব কাজ দেখভাল করবেন বোর্ডের একজন পরিচালক। এরপর বোর্ডের সেই পরিচালক সব বিষয়ে জানাবেন বোর্ডের প্রধান নির্বাহীকে। অর্থাৎ অনেকটা ইউরোপীয় ক্লাব ফুটবলের ধাঁচে সাজানো হচ্ছে।
সিএসএ’র ম্যানেজার কোরি ভ্যান জিল এখন থেকে ভারপ্রাপ্ত ক্রিকেট পরিচালকের দায়িত্বে থাকবেন। তিনি এবং প্রধান নির্বাহী থাবাং মোরোয়ে মিলে ভারত সফরের জন্য একটি অন্তর্বর্তীকালীন ম্যানেজমেন্ট টিম, নির্বাচক প্যানেল এবং অধিনায়ক নিয়োগ করবেন। তবে অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসি আপাতত নিশ্চিত থাকতে পারেন। নতুন টিম ম্যানেজমেন্ট ঠিক হওয়ার আগ পর্যন্ত তার নেতৃত্ব যাওয়ার শঙ্কা নেই বললেই চলে।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৫ ঘণ্টা, আগস্ট ০৪, ২০১৯
এমএইচএম