স্মিথের ব্যাটিং জাদুতেই প্রথম ইনিংসে নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে পেরেছে অস্ট্রেলিয়া। সাবেক অধিনায়কের ব্যাট এমন এক মুহূর্তে কথা বলল যখন ৭১ রানে চার শীর্ষ ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে ধুঁকছে অজিরা।
২১৮ রানে সপ্তম উইকেট হিসেবে পিটার সিডলকে (৯) হারানোর পর আবার মাঠে নামেন স্মিথ। এরপর এগিয়ে চলছিলেন টানা তৃতীয় টেস্ট সেঞ্চুরির দিকে। কিন্তু ৯২ রানে ক্রিস ওকসের বল বুঝতে না পেরে ছেড়ে দেন। সেটিই কাল হলো। রিভিউ নিয়েও এলবিডব্লিউর ফাঁদ থেকে বাঁচতে পারলেন না স্মিথ।
তার আগে জোফরা আর্চারের ৯২.৪ মাইল গতির বাউন্সারে ঘাড়ে আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়েন স্মিথ। অবশ্য ইংলিশ পেসারদের ধৈর্যের পরীক্ষা নিয়ে রেকর্ড টানা ৭ ইনিংস পঞ্চাশোর্ধ্ব রান করে রেকর্ড গড়েন তিনি। স্মিথ এই রেকর্ড গড়ার পথে পেছনে ফেলেন অজিদের সাবেক তারকা মাইক হাসিকে। ‘মিস্টার ক্রিকেট’ টানা ৬টি পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস খেলেছিলেন।
স্মিথ সাজঘরে ফেরেন দলীয় ২৩৪ রানে। এরপর স্টুয়ার্ট ব্রডের বলে শেষ উইকেট হিসেবে প্যাট কামিন্স (২০) ফিরলে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংস শেষ হয় ২৫০ রানে। তার আগে নাথান লায়ন ৬ রানের অবদান রাখেন দলে। জশ হ্যাজলউড অপরাজিত ছিলেন ৩ রানে।
লর্ডস টেস্টের প্রথম দিন নষ্ট হয়েছে বৃষ্টিতে। তৃতীয় দিনেও ছিল বৃষ্টির বাগড়া। অস্ট্রেলিয়া ৪ উইকেটে ৮০ রান করার পর আর মাঠে নামতে পারেনি। চতুর্থদিনের শুরুতে আগের দিনের অপরাজিত ব্যাটসম্যান ম্যাথু ওয়েডকে (৬) নিজের তৃতীয় শিকার বানান ব্রড। অধিনায়ক ও উইকেটররক্ষক টিম পেইনকে (২৩) আউট করেন আর্চার।
ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংসে করে ২৫৮ রান। সফরকারীদের চেয়ে ৮ রান এগিয়ে আছে ইংলিশরা। স্বাগতিকদের হয়ে ব্রড নিয়েছেন ৪ উইকেট। ৩ উইকেট নিয়েছেন ওকস। আর্চারের শিকার ২টি।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১৯
ইউবি