ড্রেসিংরুমে ফিরে গেলেও একটু ভালো বোধ করায় কিছুক্ষনের মধ্যেই আবার ব্যাটিংয়ে নেমে যান, তবে সে মুহূর্তে ৮০ রান নিজের নামের পাশে থাকলেও ইনিংসটি বেশিদূর এগিয়ে নিতে পারেননি। সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ৮ রান দূরে থাকতে (৯২) ক্রিস ওকসের শিকার হয়ে ফেরেন।
আগের টেস্টে জোড়া সেঞ্চুরি হাঁকানো স্মিথ নিজে চাইলেও এই টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংস আর খেলতে পারবেন না। এমনকি শুধু এই টেস্টই নয়, টিম ম্যানেজমেন্ট তাকে নিয়ে হেডিংলি টেস্টেও কোনো প্রকার ঝুঁকি নিতে চাইছে না।
মাথায় আঘাত লেগে কোনো ক্রিকেটারের টেস্ট থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সরে যাওয়ার ঘটনা এবারই প্রথম। স্মিথের বদলে এই টেস্টে শেষ দিনে ফিল্ডিং করছেন মার্নাস লাবুসচাগনে।
প্রাথমিক কনকাসন টেস্টে পার পেয়ে গেলেও পুরোপুরি সুস্থ নন স্মিথ, এমনটাই জানিয়েছেন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। আইসিসির ম্যাচ রেফারি রঞ্জন মাদুগালের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া জানিয়েছে, ‘মাথাধরা, মাথা ঘুরানো, দুর্বল লাগা, চোখে ধোয়াশা দেখা, তন্দ্রাচ্ছন্নভাব’-কনকাসনের এই লক্ষণগুলো এখনও রয়ে গেছে স্মিথের। তাই তাকে আবারও স্ক্যানের নিচে যেতে হবে।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া জানিয়েছে, ‘পরিসংখ্যানে দেখা যায় অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটে ৩০ ভাগ কনকাসনের সমস্যা দেরিতে দেখা দেয়। খেলোয়াড়রা পরীক্ষায় পাস করে গেলেও অথবা ভালো বোধ করলেও ২৪ থেকে ৪৮ ঘন্টা পর আবারও সমস্যা দেখা দেয়। সামনের দিনগুলো দেখে বোঝা যাবে স্মিথ তৃতীয় টেস্টে খেলতে পারবেন কি না। তবে সেটার সম্ভাবনা কম। স্মিথের ফিটনেস নিয়মিতই পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। ’
২০১৪ সালে এমনই এক বাউন্সারের আঘাতে মাথায় রক্ত জমে মৃত্যু হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার ফিলিপ হিউজের। স্মিথকে নিয়ে তাই বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।
স্মিথকে ছাড়াই দ্বিতীয় ইনিংসের ফিল্ডিংয়ে নেমেছে অস্ট্রেলিয়া। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৫।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৪ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০১৯
এমকেএম