বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সিরিজের একমাত্র টেস্টে আফগানদের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। ম্যাচটি নিয়ে মোটেও চিন্তিত নন আফগান কোচ।
মোলস বলেন, ‘আমি কোনো কিছু নিয়েই চিন্তিত নই। আমাদের আরও ধারাবাহিকভাবে খেলতে হবে। আমাদের আরও ভালো ব্যাটিং ও বোলিং করতে হবে। ফিল্ডিংয়ের সময়ও আমাদের সর্বোচ্চ মনোযোগ ধরে রাখতে হবে। আমাদের দক্ষতা অর্জন খুবই জরুরি। ’
‘কিন্তু, যদি আমরা ভালো না খেলতে পারি, তাহলে এটা হবে একটা শিক্ষা। বাংলাদেশ দলের প্রতি আমাদের সমীহ প্রবল। তারা ঘরের মাটিতে দারুণ খেলে। তারা আমাদের চেয়ে এক ধাপ এগিয়ে আছে। কিন্তু আমরা চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত। আমরা মোটেই ভাবছি না এটা সহজ হবে। কিন্তু আমরা যদি সঠিক সময়ে সঠিক কাজটা করতে পারি তাহলে পাঁচ দিন পর বিশেষ কিছু অর্জন করতে পারব। ’
দু’দিনের প্রস্তুতিমূলক ম্যাচটি আফগানদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সাহায্য করেছে বলে মত মোলসের। যদিও ম্যাচটি ড্র করেছে আফগানিস্তান, তবু ৯ উইকেটে ২৮৯ রান তোলার পর প্রতিপক্ষকে ১২৩ রানে গুটিয়ে দেওয়া, ২৬ রানে রশিদ খানের ৩ উইকেট ঝুলিতে পুরা এবং অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা জহির খানের ২৪ রানে ৫ উইকেট তুলে নেওয়া বেশ স্বস্তি জুগিয়েছে আফগান শিবিরে।
মোলস বলেন, ‘দলের খেলোয়াড়দের প্রচেষ্টায় কোচিং স্টাফরা খুশি। বাংলাদেশের মাটিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলা অনেক কঠিন। আমরা যদি অতীতের দিকে তাকিয়ে দেখি, তাহলে অনেক বড় দলও এখানে এসে বেশ কঠিন লড়াইয়ের মুখোমুখি হয়েছে। এটা আমাদের জন্যও আমাদের সামর্থ্যের কঠিন এক লড়াই হতে যাচ্ছে। কিন্তু আমরা কঠোর পরিশ্রম করেছি এবং আমরা আমাদের খেলোয়াড়দের মনোভাবে খুশি। ’
বাংলাদেশের প্রধান বোলিং অস্ত্র স্পিন। স্পিনে বেশ এগিয়ে আফগানরাও। তবে দুই দলের স্পিন আক্রমণ নিয়ে কোনো তুলনায় যেতে রাজি নন মোলস। বরং তাদের আসল উদ্দেশ্য ধারাবাহিকতা, ‘আমি তাদের (বাংলাদেশের) স্পিন অ্যাটাক নিয়ে মোটেও অবাক হইনি। তারা গত কয়েক ম্যাচে যে দল গঠন করেছিল তা আমি দেখেছি। এটাকে বলে “হোম অ্যাডভান্টেজ”। তারা যদি শক্তিশালী স্পিন আক্রমণ নিয়ে না আসে সেটাই হবে অবাক করা বিষয়। আমাদের স্পিন আক্রমণও বেশ গোছানো। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫১ ঘণ্টা, ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯
এমএইচএম