টেস্ট ক্যারিয়ারের ১৩তম ফিফটি তুলে নিতে ৬৯টি বল খেলেছেন মুমিনুল। বাউন্ডারি হাঁকিয়েছেন ৮টি।
এর আগে জবাব দিতে নেমে প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। দলীয় ও ব্যক্তিগত শূন্য রানে ইয়ামিন আহমেদজাইয়ের বলে বিদায় নেন ওপেনার শাদমান ইসলাম। উইকেটরক্ষক আফসার জাজাইকে ক্যাচ দেন এই বাঁহাতি। লিটন দাসের সঙ্গে হালকা জুটি গড়ে দলীয় ২০তম ওভারে আর টিকতে পারেননি সৌম্য সরকার। মোহাম্মদ নবীর বলে ব্যক্তিগত ১৭ রানে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন এই বাঁহাতি।
রশিদ খানের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন লিটন। ৬৬ বলে ৩টি চার ও এক ছক্কায় ৩৩ করেন এই ডানহাতি। এরপর আসা-যাওয়ার মিছিলে যোগ দেন দলের দুই সিনিয়র ব্যাটসম্যান সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। রশিদ খানের একই ওভারে দু’জনেই মাঠ ছাড়েন। সাকিবকে (১১) লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে মুশফিককে ক্যাচে পরিণত করেন রশিদ। এরপর দলের বিপদ বাড়িয়ে রশিদের বলেই বোল্ড হয়ে বিদায় নেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (৭)।
এদিকে চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিনে আরও ৭১ রান যোগ করে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৩৪২ রানে থামে আফগানিস্তান। দ্বিতীয় দিন আসগর আফগান সেঞ্চুরি বঞ্চিত হলেও, রশিদ খানের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৩০০ রান পেরিয়ে যায় সফরকারীরা।
শুক্রবার (০৬ সেপ্টেম্বর) জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় দিনের খেলায় মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ-আফগানিস্তান।
দিনের শুরুতেই আসগর আফগানকে ফিরিয়ে দেন তাইজুল ইসলাম। সেঞ্চুরি বঞ্চিত সাবেক এই অধিনায়ক ১৭৪ বলে ৩টি চার ও দুটি ছক্কায় ৯২ করে উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিমকে ক্যাচ দেন। পরে ৪১ রানে থাকা আফসার জাজাইকে বোল্ড করেন এই বাঁহাতি।
কাইস আহমেদকে মুমিনুল হকের ক্যাচ বানিয়ে নিজের প্রথম উইকেট তুলে নেন সাকিব আল হাসান। ইয়ামিন আহমেদজাইকেও ফেরান সাকিব। তবে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা আফগান অধিনায়ক রশিদ খানকে বিদায় করে প্রতিপক্ষের ইনিংসের সমাপ্তি ঘটান মেহেদি হাসান মিরাজ। ৬১ বলে ২ চার ও ৩ ছক্কায় ৫১ করে রশিদ।
বাংলাদেশ বোলারদের মধ্যে তাইজুল ৪টি, নাঈম হাসান ও সাকিব দুটি, আর মাহমুদউল্লা ও মিরাজ একটি করে উইকেট পান।
এর আগে সিরিজের একমাত্র টেস্টের প্রথম দিন ৫ উইকেট হারিয়ে ২৭১ রান করেছিল আফগানরা। প্রথম দিন রহমত শাহ’র সেঞ্চুরিতে (১০২) বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রতিরোধ গড়ে আফগানরা। আর ৮৮ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন আসগর আফগান। ৩৫ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন আফসার জাজাই।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৬, ২০১৯
এমএইচএম