এই সংকট নিরসনে বুধবার প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার সঙ্গে গণভবনে দেখা করতে যান পাপন। সেখানে বিসিবি সভাপতিকে প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন করেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর দরজা সব সময় খেলোয়াড়দের জন্য খোলা, কেন অবহিত না করে আন্দোলনে গেলো।
পরে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন সাংবাদিকদের বলেন, ‘উনি তো সবই জানেন। গত পরশুদিনও উনার সাথে সাক্ষাৎ করতে গিয়েছিলাম। কাল সকালে মাশরাফিও এসেছিল। এখন আমি উনাকে জাস্ট জানাতে আসলাম আপডেট। ’
‘এখানে সমাধান তো দেওয়াই আমি তো কালকেই বললাম ওদের কোন দাবিটা আছে। এখানে এমন কোনো দাবি নেই যেটা মানা যাবে না। দাবি নিয়ে আসলেই সাথে সাথে শেষ। ওদের আসতে হবে তো। ’
‘কথা যাই কিছু হোক খেলা বন্ধ করবে কেন। আমার দরজাও তো ওদের কাছে সব সময় খোলা। কারো কাছে কিছু না বলে খেলা বন্ধ করবে কেন। এটাতো ক্রিকেটকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র। এটা তো হতে পারে না। যে কেউ বোঝার কথা। বারবার একটা কথাই বলছি দাবি যদি থাকে যদি না মানা হয় তখন মানুষ আন্দোলনে যেতে পারে কিন্তু কোন দাবি না দিয়ে আগে খেলা বন্ধ এটা তো হতে পারে না এটা পৃথিবীর কোথাও নেই'। এটার মধ্যে নিশ্চয়ই কোন একটা ব্যাপার আছে। ’
এর আগে গত সোমবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ক্রিকেট ব্যবস্থাপনার প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করে ১১ দফা দাবি জানিয়েছেন ক্রিকেটাররা। আর এসব দাবি না মানা পর্যন্ত সবধরনের ক্রিকেট থেকে বিরতিতে থাকবেন জাতীয় দল ও জাতীয় দলের বাইরে থাকা সকল ক্রিকেটাররা।
ক্রিকেটারদের দাবির মধ্যে ছিল কোয়াবের বর্তমান কমিটির পদত্যাগ, খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক বাড়ানো, স্থানীয় কোচদের প্রাধান্য দেওয়া, জাতীয় লিগের ম্যাচ ফি বাড়ানো, ভ্রমণভাতা বাড়ানো, বিভাগীয় পর্যায়ে অনুশীলনের সুযোগ বাড়ানো, আন্তর্জাতিক মানের বল দিয়ে স্থানীয় ম্যাচ আয়োজন, প্রথম ও দ্বিতীয় বিভাগ লিগের দুর্নীতি বন্ধ করার মতো বিষয়গুলো।
ক্রিকেটারদের দাবির প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) এক প্রেস ব্রিফিংয়ে হাজির হয়ে বিসিবি প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপন দাবি করেন, ক্রিকেটারদের দাবিগুলো ‘অযৌক্তিক’। শুধু তাই না, তার মতে এসব করা হচ্ছে দেশের ক্রিকেটকে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১৯
এমএমএস