সর্বশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর থেকেই নতুন কোচের সন্ধান করছে শ্রীলঙ্কা। এর মধ্যে অনেকের নাম আলোচনায় এলেও কোচ হিসেবে আর্থারকেই পছন্দ এসএলসি’র।
আর্থারের কোচিং ক্যারিয়ার বেশ সমৃদ্ধ। এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকা ছাড়াও অস্ট্রেলিয়ার কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করলেও ২০১৬ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের প্রধান কোচ হিসেবে তার সাফল্যের কারণেই তাকে মনে ধরেছে লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ডের। আর্থারের অধীনে ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জেতার পাশপাশি টি-টোয়েন্টির র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষেও জায়গা করে নিয়েছিল পাকিস্তান।
এদিকে, আর্থারের দিকে হাত বাড়ালেও হাথুরুসিংহের সঙ্গে এখনও চুক্তি বাতিল করেনি শ্রীলঙ্কা। সাবেক বাংলাদেশ কোচকে চলতি বছরের আগস্টে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তার চুক্তির মেয়াদ ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। তাকে সরিয়ে দিতে হলে বড় অঙ্কের জরিমানা গুণতে হবে। ফলে কাজের কাজ কিছু না করলেও তাকে মোটা অঙ্কের বেতন দিয়ে যাচ্ছে এসএলসি।
হাথুরুসিংহের বিরুদ্ধে বেশকিছু অভিযোগ তুলেছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট। এর মধ্যে আছে সিনিয়র ক্রিকেটারদের সঙ্গে বাজে সম্পর্ক, দলে বিভক্তি তৈরি করা আর খবরদারী করা। এমনকি তাকে জবাবদিহিতার জন্য ডাকা হলেও তাতে তিনি হাজির হননি। মজার ব্যাপার হচ্ছে, বাংলাদেশের কোচ থাকাকালীনও তার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগের কথা শোনা গিয়েছিল। কিন্তু এসব অভিযোগ সত্ত্বেও তাকে সহজে সরানো যাচ্ছে না। এখন আর্থারের নিয়োগ চূড়ান্ত হওয়া অনেকটাই হাথুরুসিংহের সরে যাওয়ার ওপর নির্ভর করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৯
এমএইচএম