চলতি বছরের ১৪ জুলাই লর্ডসে অনুষ্ঠিত ফাইনালে রোমাঞ্চকর ফাইনালে ইংলিশদের কাছে হেরে যায় নিউজিল্যান্ড। তবে ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই ওয়ানডে ম্যাচে হেরে গেলেও কেন উইলিয়ামসনের দল অবিশ্বাস্য স্পোর্টসম্যানশিপ, নম্রতা, নিঃস্বার্থ আচরণের নজির স্থাপন করেছিল।
এমসিসি’র প্রেসিডেন্ট কুমার সাঙ্গাকারা বলেন, ‘নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দল এই পুরস্কারের সুযোগ্য দাবিদার। তারা অসাধারণ এক টুর্নামেন্টে উত্তাপে ভরা ফাইনালে যে স্পোর্টসম্যানশিপ দেখিয়েছে তা একদম যথাযথ। তারা যা দেখিয়েছে তা ক্রিকেটের ইতিহাসে অমর হয়ে থাকবে। আমরা এখনও তাদের স্পিরিট অব ক্রিকেট নিয়ে কথা বলছি। তাদের আচরণ অবশ্যই স্বীকৃতির দাবিদার। ’
লর্ডসের সেই অবিস্মরণীয় দিনে, নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ জয় করে ইংল্যান্ড। তবে ম্যাচটা ক্রিকেটভক্তদের চোখে দীর্ঘদিন লেগে থাকবে অন্য কারণে। ওই ম্যাচে ৫০ ওভার করে খেলা শেষে দুই দলেরই স্কোর সমান হয়ে যায়। ফলে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। সেখানেও দুই দলের স্কোর সমান হওয়ায় মূল ইনিংসে বাউন্ডারির সংখ্যায় এগিয়ে থাকায় জিতে যায় স্বাগতিক ইংল্যান্ড।
ফাইনালে এমন দুর্ভাগ্যজনক হার সত্ত্বেও অসাধারণ স্পোর্টসম্যানশিপ দেখিয়ে হার মেনে নেয় নিউজিল্যান্ড। শুধু ফাইনালেই নয়, পুরো আসরেই প্রতিপক্ষের প্রতি কিউইদের আচরণ ছিল অনুকরণীয়।
এবারের ‘স্পিরিট অব ক্রিকেট’ জয়ী কিউইদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হয় হ্যামিল্টন টেস্ট শেষে। মজার ব্যাপার হলো, এই ম্যাচের প্রতিপক্ষও সেই ইংলিশরাই। ম্যাচটি অবশ্য ড্রয়ে শেষ হয়েছে। তবে সিরিজ কিন্তু ঠিকই কিউইদের ঘরেই গেছে।
এর আগে এই পুরস্কার জিতেছিলেন ডার্বিশায়ারের ওয়েইন ম্যাডসন, সাসেক্সের লুক রাইট, নিউজিল্যান্ডের ব্র্যান্ডন ম্যাককালাম, ওরচেস্টারশায়ারের টম ফেল এবং ইংল্যান্ডের আনাইয়া শ্রাবসোলে। ২০১৮ সালে এই পুরস্কার যুগ্মভাবে জিতেছিলেন ইংল্যান্ডের শিক্ষানবিস প্রতিবন্ধী ক্রিকেট দলের ড্যান বাওসের এবং ক্রিস এডওয়ার্ডস।
এমসিসি’র সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং বিবিসি’র টেস্ট ম্যাচের বিশেষজ্ঞ ধারাভাষ্যকার ক্রিস্টোফার মার্টিন-জেনকিন্স এর নামানুসারে ২০১৩ সালে মেরিলিবোর্ন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিসি) এই ‘সিএমজে স্পিরিট অব ক্রিকেট’ পুরস্কার প্রবর্তন করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০১৯
এমএইচএম/এমএমএস