ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

‘বৃষ্টি’কে জিততে দেয়নি রাওয়ালপিন্ডি টেস্ট

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৫৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৯
‘বৃষ্টি’কে জিততে দেয়নি রাওয়ালপিন্ডি টেস্ট ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘ ১০ বছর পর পাকিস্তানের মাটিতে টেস্ট ফিরে সাজ সাজ রব উঠেছিল। তবে বেরসিক বৃষ্টি রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে পানি ঢেলে দিয়েছে। স্বাগতিক পাকিস্তান আর সফরকারী শ্রীলঙ্কার মধ্যকার প্রথম টেস্টটি ড্র হয়েছে। তবে, বৃষ্টি এই ম্যাচটিকে নিষ্প্রাণ ড্র করতে পারেনি।

প্রথম দিন শেষ সময়ে বৃষ্টি হানা দেওয়া রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের পরের তিন দিনও ছিল বৃষ্টির বাগড়া। টেস্টের চতুর্থ দিন ভেজা আউটফিল্ডের কারণে মাঠে একটি বল গড়ায়নি।

অথচ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এই টেস্টটি ছিল পাকিস্তানের ঘরের মাঠে আন্তর্জাতিক সাদা পোশাকের ম্যাচে ফেরার উৎসবের উপলক্ষ।

দ্বিতীয় দিন মাঠে বল গড়িয়েছিল ১৮.২ ওভার। সময়ের হিসেবে ৮২ মিনিট। বাকি সময় রাওয়ালপিন্ডির ক্রিকেট স্টেডিয়ামের প্যাভিলিয়নে বৃষ্টি দেখেই সময় কাটাতে হয় সফরকারী শ্রীলঙ্কা এবং স্বাগতিক পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের। তৃতীয় দিন বল গড়িয়েছে ৩২টি, শেষ পযর্ন্ত বৃষ্টি এবং আলোকস্বল্পতার কারণে তৃতীয় দিন পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন আম্পায়াররা। চতুর্থ দিন কোনো বলই মাঠে গড়ায়নি। শেষ দিকে সেঞ্চুরি তুলে নেন ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা, পাকিস্তানের ওপেনার আবিদ আলি আর বাবর আজম।  

আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের এই ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় লঙ্কানরা। ৬ উইকেটে ৩০৮ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে লঙ্কানরা। জবাবে, শেষ দিন কিছুটা ব্যাটিংয়ের সুযোগ পায় পাকিস্তান। তাতে ৭০ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে তোলে ২৫২ রান। এরপরই ম্যাচটি ড্র বলে ঘোষিত হয়।

ওপেনিং জুটিতে দলপতি দিমুথ করুনারত্নে এবং ওশাদা ফার্নান্দো তুলে নেন ৯৬ রান। করুনারত্নে ১১০ বলে ৯টি চারের সাহায্যে করেন ৫৯ রান। ফার্নান্দো ৮১ বলে ৬টি চার আর একটি ছক্কায় করেন ৪০ রান।

তিন নম্বরে নামা কুশল মেন্ডিস ১০, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস ৩১ রান করেন। দিনেশ চান্দিমাল (২) দ্রুতই বিদায় নেন। নিরোশান দিকওয়েলা করেন ৬৩ বলে ৩৩ রান। ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা ১৬৬ বলে ১৫টি চারের সাহায্যে ১০২ রানে অপরাজিত থাকেন।

পাকিস্তানের নাসিম শাহ এবং শাহিন শাহ দুটি করে উইকেট তুলে নেন। একটি করে উইকেট পেয়েছেন মোহাম্মদ আব্বাস, উসমান শিনওয়ারি।

পাকিস্তানি ওপেনার শান মাসুদ ব্যাটিংয়ে নেমে কোনো রান না করেই বিদায় নেন। আরেক ওপেনার আবিদ আলি ওয়ানডে অভিষেকের মতো টেস্টের অভিষেকও সেঞ্চুরিতে রাঙিয়েছেন। পুরুষ ক্রিকেটে তিনিই একমাত্র ব্যাটসম্যান হিসেবে এই বিরল ইতিহাস গড়লেন। তিন নম্বরে নামা দলপতি আজহার আলি করেন ৩৬ রান। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ব্রিসবেনে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি করা বাবর আজম আজ পেয়েছেন দ্বিতীয় সেঞ্চুরির দেখা। মাঝের ম্যাচে তিনি করেছিলেন ৯৭ ও ৮ রান।

আবিদ আলি ২০১ বলে ১১টি বাউন্ডারিতে করেন অপরাজিত ১০৯ রান। আর বাবর আজম ১২৮ বলে ১৪টি বাউন্ডারিতে করেন অপরাজিত ১০২ রান। স্কোরবোর্ডে ১৬২ রান যোগ করে এই উইকেট জুটি অবিচ্ছিন্ন থাকে। ম্যাচসেরার পুরস্কার ওঠে বিরল রেকর্ডে নাম তোলা আবিদ আলি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৯
এমআরপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।