পিসিবির প্রধান নির্বাহী ওয়াসিম খান বলেন, ‘বিসিবির সাথে আমাদের সফর নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তারা পাকিস্তানে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলার ব্যাপারে আগ্রহী।
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে শ্রীলঙ্কা পাকিস্তানে টেস্ট সিরিজ খেলছে। এখানে সবকিছুই নিরাপত্তা বলয়ে ঢাকা। ফলে আমরা বাংলাদেশের কাছে জানতে চাই কেন তারা আসতে চাচ্ছে না। আলোচনা প্রায় চূড়ান্ত এবং তারা সফরে আসবে না এমনটি ভাবা যায় না। তারা তিনটি টি-টোয়েন্টির ব্যাপারে কথা বলছে, তবে আমাদের পক্ষে এখন নিরপেক্ষ ভেন্যুতে টেস্ট খেলার কোনো অপশন নেই। ’
এদিকে পাকিস্তান সফরে পিসিবির এমন বিবৃতির প্রসঙ্গে বিসিবির কাছে জানতে চাওয়া হলে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি। তবে কিছুদিন আগে বিসিবি প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপন জানিয়েছিলেন, পাকিস্তান সফরের ব্যাপারে ক্রিকেটারদের চাপ দেওয়া হবে না।
২০০৯ সালের মার্চে লাহোরে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট টিম বাসের ওপর সন্ত্রাসী হামলার পর পাকিস্তানের ক্রিকেট এক প্রকার নির্বাসিত হয়। তবে ঠিক ১০ বছর পর এই শ্রীলঙ্কাই পাকিস্তান সফরে গিয়ে টেস্ট খেলছে। সফররত লঙ্কান ক্রিকেটাররা অবশ্য নিরাপত্তা বিষয়ে ভালো মতামত দিচ্ছেন। এমনকি সেই হামলায় মৃত্যুকে খুব কাছ থেকে দেখা লঙ্কান গ্রেট কুমার সাঙ্গাকারাও পাকিস্তান সফরের পরিকল্পনা করছেন। কিংবদন্তি এই ক্রিকেটার বর্তমানে এমসিসির প্রেসিডেন্ট। সংস্থাটি পাকিস্তানের ক্রিকেট ফেরাতে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে।
২০০৯ সালের পর পাকিস্তান সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিজেদের দ্বিতীয় হোম ভেন্যু হিসেবে খেলেছে। তবে দেশটির দাবি বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের মতো টেস্টের নিচের সারির দলের বিপক্ষে আমিরাতে খেলা আয়োজন করাটা তাদের আর্থিকভাবে ক্ষতির কারণ হতে পারে।
সূচি অনুযায়ী পাকিস্তান সফরে ২৩, ২৫ ও ২৭ জানুয়ারি তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলবে বাংলাদেশ। আর রাওয়ালপিন্ডি ও করাচিতে টেস্টের সূচি রয়েছে। তবে নতুন প্রস্তাবের উত্তরের পরই এটি নিশ্চিত হবে। এছাড়া বাংলাদেশ সরকারেরও পাকিস্তান সফরের ব্যাপারে অনুমোদনের বিষয় রয়েছে। যেহেতু কূটনৈতিকভাবে দু’দেশের সম্পর্কের টানাপোড়েন রয়েছে।
সম্প্রতি বাংলাদেশ ক্রিকেটের বেশ কয়েকটি দল পাকিস্তান সফর করেছে। তবে পুরুষ জাতীয় দল সর্বশেষ ২০০৭-০৮ মৌসুমে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলেছিল দেশটিতে। পাকিস্তান অবশ্য ২০১১-১২ ও ২০১৫ সালে দু’বার বাংলাদেশ সফর করে গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২০৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৯
এমএমএস