২০১৭ নিলামে ১৪.৫ কোটি রুপিতে রাইজিং পুনে সুপারজায়ান্টে নাম লিখিয়েছিলেন বেন স্টোকস। ইংলিশ অলরাউন্ডারের সেই রেকর্ড ছাপিয়ে সবচেয়ে দামি বিদেশি ক্রিকেটার হিসেবে প্যাট কামিন্সকে ঘরে তুলে ইতিহাস গড়ে নাইট রাইডার্স।
ইংলিশ দলপতি ইয়ন মরগান ৫ কোটি ২৫ লাখ রুপিতে গেছেন কলকাতায়। নাইট রাইডার্স দলে টেনেছে নতুন মুখ বরুন চক্রবর্তীকে। বেইস প্রাইস ৩০ লাখ হলেও তাকে শাহরুখ খানের দলটি নিয়েছে ৪ কোটি রুপিতে।
কামিন্সের মতো আইপিএল নিলামের ইতিহাসে এর চেয়ে বেশি দর ওঠেনি কোনো বিদেশি ক্রিকেটারের। গাঙ্গুলী মনে করছেন বিশাল চাহিদা থেকেই নিলামে দর উঠেছে কামিন্সের। কলকাতায় এক অনুষ্ঠানে তিনি জানান, ‘আমার কিন্তু মনে হয় না কামিন্সের দাম বড্ড বেশি হয়েছে। এটা আসলে চাহিদার উপর অনেকটা নির্ভর করে। বিশেষ করে এই ধরনের ছোট মাপের নিলামে এমনই ঘটে। বেন স্টোকসেরও এমন ধরনের ছোট মাপের নিলামে সাড়ে ১৪ কোটি রুপি দর উঠেছিল। ’
এই মুহূর্তে টেস্টে বিশ্বের এক নম্বর বোলার কামিন্স। সেটি মনে করিয়ে দিয়ে গাঙ্গুলী যোগ করেন, ‘কলকাতার ইডেনের পিচ শক্ত আর সবুজ। গতি ও বাউন্স আছে এমন বোলারদের জন্য সঠিক জায়গার উইকেট। আমার মনে হয় নিলামে দিল্লি ক্যাপিটালস ও কেকেআরের মধ্যে লড়াই চলছিল। একটা সময়ের পর দিল্লি হাল ছেড়ে দেয়। এটা পুরোটাই চাহিদা আর জোগানের ব্যাপার। ’
বলে রাখা ভালো, কামিন্স এর আগেও আইপিএলে কলকাতার হয়ে খেলেছেন। ২০১৪ সালে নাইট রাইডার্সের হয়ে অবশ্য মাত্র একটা ম্যাচ খেলেছিলেন তিনি। ২০১৭ সালে দিল্লি ডেয়ারডেভিলস তাকে ৪.৫ কোটি টাকায় নিয়েছিল। সেবার তিনি নিয়েছিলেন ১৫ উইকেট। পরের আসরে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স তাকে ৫.৪ কোটি টাকায় নিয়েছিল। কিন্তু চোটের জন্য তিনি সেবার খেলতে পারেননি।
এবার রেকর্ড দাম দিয়ে কামিন্সকে কিনেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স৷ নিলামে কামিন্সকে নিয়ে প্রথমে দর কষাকষি হয় দিল্লি ক্যাপিটালস ও রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর মধ্যে৷ কিন্তু ১০ কোটির পর থেকে দর হাঁকাতে শুরু করে কলকাতা৷ তখনও হাল ছাড়েনি দিল্লি। পরে নূন্যতম ২ কোটি থেকে শেষ পর্যন্ত ১৫ কোটি ৫০ লাখ রুপিদে কামিন্সকে তুলে নেয় কেকেআর৷
বাংলাদেশ সময়: ১২৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৯
এমআরপি