ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

ভালো শুরুর পরও ১৪১ রানের সংগ্রহ পেল বাংলাদেশ

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০২০
ভালো শুরুর পরও ১৪১ রানের সংগ্রহ পেল বাংলাদেশ .

শুরুতে দেখেশুনে খেলতে গিয়ে ভালো সংগ্রহ গড়তে পারল না বাংলাদেশ। তামিম ইকবাল ও মোহাম্মদ নাঈমের ওপেনিং জুটিতে বড় রান এলেও পরে ওই স্লো ব্যাটিংয়ের ধাক্কা সামলাতে পারেননি বাকিরা। ফলে ৫ উইকেট হারিয়ে শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানের সামনে ১৪২ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দিতে পেরেছে সফরকারীরা।

তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ।

ব্যাটিংয়ে নেমে নতুন রেকর্ড গড়েন তামিম।

বাংলাদেশের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রানের মালিক এতদিন ছিলেন সাকিব আল হাসান। এখন সেই রেকর্ডের মালিক টাইগার ওপেনার তামিম।

৭৬টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে সাকিবের সংগ্রহ ১৫৬৭ রান। তবে পাকিস্তানের বিপক্ষে চলতি সিরিজের প্রথম ম্যাচে ব্যাটিং করতে নেমে ব্যক্তিগত ১৪ রানে ব্যাট করার সময় সাকিবকে ছাড়িয়ে গেছেন তামিম। এজন্য সাকিবের চেয়ে ৪ ম্যাচ কম খেলেছেন তিনি।

নাঈমের সঙ্গে ৭১ রানের ওপেনিং জুটি গড়ে রান আউটের খাড়ায় পড়ে বিদায় নেন তামিম। এর আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৩৪ বলে ৩৯ রানের ইনিংস। ৪টি চার ও ১ ছক্কায় সাজানো এই ইনিংস।

তামিমের বিদায়ের পর লিটন আর নাঈম মিলে রানের চাকা সচল রাখার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু এক রানের জায়গায় দুই রান নিতে গিয়ে বোলার ইমাদের সরাসরি থ্রোয়ে বিদায় নেন লিটন। এক বল পরেই ৪১ বলে ৪৩ রান করা নাঈমও বিদায় নেন। ৩টি চার ও ২ ছক্কায় সাজানো এই ইনিংস।

নাঈমের বিদায়ের পর কার্যত বাংলাদেশের রানের চাকা অনেকটা থমকে যায়। এর মধ্যে আফিফ হোসেন (৯) বোল্ড হয়ে পাকিস্তানি পেসার হারিস রৌফকে অভিষেক উইকেট উপহার দিয়ে আসেন। এরপর শাহিন শাহ আফ্রিদির বল সৌম্য সরকারের (৭) লেগ স্ট্যাম্প উড়িয়ে দেয়।

শেষ ওভারে মাহমুদউল্লাহ’র হালকা ঝড়ে মাঝারি সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। অধিনায়ক ও মোহাম্মদ মিঠুনের ব্যাটে ওই ওভারে আসে ১৩ রান। ১৪ বলে ১৯ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন মাহমুদউল্লাহ। আর মিঠুন অপরাজিত থাকেন ৫ রানে।

বল হাতে পাকিস্তানের শাহিন আফ্রিদি, হারিস রৌফ ও শাদাব খান ১টি করে উইকেট নিয়েছেন।

বাংলাদেশের একাদশ: তামিম ইকবাল, মোহাম্মদ নাঈম, আফিফ হোসেন, লিটন দাস (উইকেটরক্ষক), মাহমুদউল্লাহ (অধিনায়ক), সৌম্য সরকার, মোহাম্মদ মিঠুন, আমিনুল ইসলাম, শফিউল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান, আল-আমিন হোসেন।

পাকিস্তানের একাদশ: আহসান আলী, বাবর আজম (অধিনায়ক), মোহাম্মদ হাফিজ, শোয়েব মালিক, ইফতিখার আহমেদ, ইমাদ ওয়াসিম, মোহাম্মদ রিজওয়ান (উইকেটরক্ষক), শাদাব খান, হারিস রৌফ, শাহিন শাহ আফ্রিদি, মোহাম্মদ হাসনাইন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০২০
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।