করোনা ভাইরাসের কারণে ঘরে বসে অবসর সময় কাটানো তামিম ইকবাল বেশ কয়েকদিন ধরেই দেশি-বিদেশি ক্রিকেটারদের নিয়ে লাইভ আড্ডায় মেতেছেন। মঙ্গলবার (মে ১৯) সেখানে এবারের বিশেষ অতিথি হয়ে এসছিলেন পাকিস্তানের সাবেক এই বাঁহাতি লিজেন্ড ফাস্ট বোলার।
একজন ১৬ বছর বয়সের তরুণ ফাস্ট বোলারের বিশ্বসেরা হতে হলে তাকে কী করতে হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে ওয়াসিম বলেন, ‘১৬ বছরের একজন তরুণের মধ্যে অনেক প্রতিভা লুকিয়ে থাকে। তাকে যথাযথ পথে পরিচর্চা করতে হবে। তার ইনজুরির শঙ্কাটা বেশি থাকে কারণ সে বেড়ে উঠছে। সেজন্যেই সতর্ক থাকতে হয়। তাকে মাসসিকভাবে প্রস্তুত হতে হবে। একজন ভালো ফাস্ট বোলার হতে হলে তাকে বেশি বেশি ম্যাচ খেলতে হবে। তাই বলে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলা বেশি খেললে হবে না। এটা ক্রিকেটের শর্ট ফরম্যাট টাকা আয়ের বড় পথ, মানুষকে আনন্দ দেয়, খেলাটা সহজ। কিন্তু বিশ্বের মধ্যে একজন ভালো ফাস্ট বোলার হতে হলে আমি বলবো, ১৬ বছর বয়স থেকেই বেশি বেশি দুই দিনের ম্যাচ, তিন দিনের ম্যাচ খেলতে হবে। ’
এসময় ওয়াসিম আকরাম কিভাবে ভালো পেস বোলার বের করে নিয়ে আসতে হয় সেটা নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন। পাকিস্তান আর বাংলাদেশের উইকেট প্রায় একই ধরনের। কিন্তু পাকিস্তান থেকে সবসময় ভালো পেসার বের হয়ে আসে যেটা বাংলাদেশে দেখা যায় না। এই পার্থক্যটা কোথায়, এক্ষেত্রে বাংলাদেশের কী করণীয় সেই পরামর্শ দিয়েছেন ওয়াসিম।
বাঁহাতি এই লিজেন্ড পেসার বলেন, ‘আপনি যখন দেখবেন, তরুণ একজন বোলার ভালো গতিতে বল করছে, ভালো ভবিষ্যৎ রয়েছে, প্রথমেই তার মানসিকতাটকে টেনে ধরুণ। তাকে কখনোই এটা বলবেন না যে, স্লো পিচে খেলা হচ্ছে, তুমি উইকেট পাবে না। এই নেতিবাচক মানসিকতাটাকে আপনার আটকাতে হবে। সে যদি আশেপাশে থেকে শোনে যে স্লো পিচ, উইকেট পাবে না, তাহলে তার প্রথমেই মানসিকভাবে উইকেট নিয়ে নেতিবাচক ধারনা হবে। তাকে শিখতে হবে কিভাবে বল সুইং করাতে হয়, কিভাবে স্লো উইকেটে ফুলার লেন্থে বল করতে হয়। ’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে টেস্ট ম্যাচে স্লো উইকেটে বল করতে বেশি উপভোগ করতাম। কারণ স্লো উইকেটে বল সুইং করানো যায়, উইকেট টু উইকেট বল করা যায়। বাংলাদেশের পিচে উইকেটে টু উইকেট বল করলে ব্যাটসম্যানদের জন্য খেলা কঠিন হয়ে যাবে। তো আমার কাছে মনে হয়, পার্থক্যটা শুধু মানসিকতায়। ’
বাংলাদেশ সময়: ০১০৩ ঘণ্টা, মে ২০, ২০২০
আরএআর/ইউবি