ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

বৈচিত্র্য ছাড়া ক্রিকেট কিছুই না, ফ্লয়েড হত্যা নিয়ে আইসিসি

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩১ ঘণ্টা, জুন ৫, ২০২০
বৈচিত্র্য ছাড়া ক্রিকেট কিছুই না, ফ্লয়েড হত্যা নিয়ে আইসিসি .

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শ্বেতাঙ্গ পুলিশ অফিসারের হাতে আফ্রিকান-আমেরিকান জর্জ ফ্লয়েড হত্যার ঘটনায় উত্তাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সাবেক এই বাস্কেটবল খেলোয়াড়ের মৃত্যু নাড়িয়ে দিয়েছে পশ্চিমা বিশ্বের বর্ণ বৈষম্যের ভিত। করোনা ভাইরাস মহামারির মাঝেই লকডাউন, এমনকি কারফিউ ভেঙে রাস্তায় নেমে এসেছে হাজারো মানুষ। ‘কৃষ্ণাঙ্গ জীবনেরও মূল্য আছে’ এই স্লোগানে মুখর এখন আমেরিকার আকাশ-বাতাস।

২৫ মে মিনিয়াপোলিসে পুলিশের হাতে নির্মমভাবে নিহত হন কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েড। প্রকাশ্যে শহরের রাস্তায় গলায় হাঁটু দিয়ে চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে ফ্লয়েডকে হত্যা করেন এক শ্বেতাঙ্গ পুলিশ।

মারা যাওয়ার সময় শেষ বার ফ্লয়েড বলেছিলেন, ‘প্লিজ, আমি নিঃশ্বাস নিতে পারছি না’। এই ঘটনার প্রতিবাদে আমেরিকাজুড়ে বিক্ষোভ ও অশান্তির আগুন ছড়িয়ে পড়েছে।  

বর্ণ বৈষম্য বিরোধী এই আন্দোলনে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি অংশগ্রহণ করছেন বহু ক্রীড়া তারকা। বাস্কেটবল, বেসবল, গলফ তারকাদের পাশাপাশি মেসি, এমবাপ্পে, আলেকজান্ডার আরনল্ডসহ শত শত ফুটবল তারকা সামাজিক যোগযোগের মাধ্যমে এই আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছেন। এমনকি আন্তর্জাতিক ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফাও এ নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে।  

ফুটবলের পাশাপাশি ক্রিকেটেও বর্ণবাদ বিরোধী এই আন্দোলন ছায়া ফেলেছে। ড্যারেন স্যামি, ক্রিস গেইলরা এ নিয়ে শুরু থেকেই সরব। এবার নিজেদের অবস্থা পরিস্কার করল ইন্টারন্যাশলান ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। শুক্রবার (০৫ জুন) আইসিসি’র অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে ২০১৯ বিশ্বকাপ ফাইনালের ৯০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও পোস্ট করেছে।  

আইসিসি’র পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা যায়, পেসার জোফরা আর্চারের করা রোমাঞ্চকর সুপার ওভারের শেষ বলটি করার পর ফাইনাল জিতে নেওয়া ইংল্যান্ডের ক্রিকেটাররা উদযাপনে মেতেছেন। উদযাপনের মধ্যমণি ক্যারিবীয় বংশোদ্ভুত আর্চার। ইংল্যান্ডের এই দলটি নানা জাতির খেলোয়াড়দের সমন্বয়ে গঠিত। দলটির অধিনায়ক ইয়ন মরগ্যান একজন আইরিশ। বিশ্বকাপে দলের সেরা পারফর্মার বেন স্টোকস নিউজিল্যান্ডে জন্মগ্রহণকারী, দুই স্পিনার মঈন আলী ও আদিল রশিদ পাকিস্তানি বংশোদ্ভুত। দলটির ওপেনার জেসন রয় দক্ষিণ আফ্রিকান বংশোদ্ভুত।  

এমনকি বিশ্বকাপ জেতার পর ইংল্যান্ডের অধিনায়ক মরগ্যান নিজেই স্বীকার করেন যে, বৈচিত্র্যের কারণেই দলটি একতাবদ্ধ হতে পেরেছে। আর তাদের সাফল্যের রহস্যও এটাই।

শুধু ইংল্যান্ড দলেই নয়, ফাইনালের গ্যালারিতে উৎফুল্ল দর্শক-সমর্থকদের মধ্যে বহু বর্ণ, জাতির সংমিশ্রণ চোখে পড়ে অনায়াসেই। এই বৈচিত্র্যকেই ক্রিকেটের সৌন্দর্য হিসেবে বর্ণনা করেছে আইসিসি।  

ভিডিওর ক্যাপশনে আইসিসি লিখেছে, ‘বৈচিত্র্য ছাড়া ক্রিকেট কিছুই না। বৈচিত্র্য ছাড়া আপনি পুরো চিত্রটা পাবেন না। ’

এর আগে ক্রিকেটারদের মধ্যে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে সবচেয়ে সফল ব্যাটসম্যান ক্রিস গেইল এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিশ্বকাপজয়ী টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক ড্যারেন স্যামি বর্ণবাদ নিয়ে মুখ খুলেছেন। স্যামি এমনকি কৃষ্ণাঙ্গ ক্রিকেটারদের সমর্থনে এগিয়ে আসার জন্য আইসিসিকে এগিয়ে আসার আহ্বানও জানান।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩১ ঘণ্টা, জুন ০৫, ২০২০
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।