ঘটনাটা ২০১১ সালের। মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে ইংল্যান্ড সফরে গিয়ে বিপর্যস্ত অবস্থা ভারতের।
৯৯তম সেঞ্চুরি নিয়ে ওভাল টেস্টে খেলতে নেমে আশাও জাগালেন ‘ক্রিকেট ঈশ্বর’। কিন্তু বিধি বাম। নার্ভাস নাইন্টিনে গিয়ে আবারও কপাল পুড়ল তার। দ্বিতীয় ইনিংসে ৯১ রানে ব্যাট করার সময় ব্রেসনানের ওভারে একটি বল প্যাডে লাগে শচীনের। জোরালো আবেদন তুলেন ইংলিশরা। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে আঙুল তুলেন আম্পায়ার টাকার।
অনেকদিন ধরে শততম সেঞ্চুরির জন্য লড়াই করতে থাকা শচীন খুব কাছে গিয়ে আবারও ব্যর্থ হলেন। তবে যে বলে শচীন এলবিডব্লিউ’র শিকার হলেন সে বল লেগ-স্টাম্প মিস করে যাওয়ার সম্ভবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না বললেই চলে।
শচীনের সেঞ্চুরি বঞ্চিত হওয়া মেনে নিতে পারেনি তার ভক্ত-সমর্থকরা। প্রিয় তারকার আউট হওয়ায় মৃত্যুর হুমকি দেন ব্রেসনান ও টাকারকে। ইয়র্কশায়ার ক্রিকেট: কাভার্স অফ পোডকাস্টে এসব কথা জানিয়েছেন ইংলিশ পেসার।
ব্রেসনান বলেন, ‘ঐটা ছিল ওভালে সিরিজের শেষ টেস্ট। যাই হোক, বলটি সম্ভবত লেগ-স্টাম্প মিস করতো। তবে আম্পায়ার (টাকার) তাকে আউট দিয়ে দেয়। তখন সে ৮০ (মূলত ৯১ রান) এর উপরে রান নিয়ে ব্যাট করছিল। নিঃসন্দেহে সে সেঞ্চুরি পেতো। তবে তার আউটের পর আমি ও আম্পায়ার উভয়ে মৃত্যুর হুমকি পেয়েছি। ’
৩৫ বছর বয়সী পেসার আরও বলেন, ‘আমাকে টুইটারে হুমকি দেওয়া হতো। আর আম্পায়ায় টাকারকে হুমকি দেওয়া হতো তার বাড়ির ঠিকানায় চিঠি লেখে। তারা লিখতো, তোমাদের সাহস কতো? বলটা নিশ্চিত লেগ-স্টাম্প মিস করতো। ’
এই হুমকিতে আম্পায়ার টাকার তার বাড়িতে নিরাপত্তাকর্মীও নিয়োগ দেন বলে জানান ব্রেসনান।
২০১১ সালের বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৯৯তম আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি পাওয়া শচীন অবশ্য ঠিকই তার শততম সেঞ্চুরি পূরণ করেছিলেন। তার জন্য অবশ্য লেগেছিল এক বছর। ২০১২ সালে এশিয়া কাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে এই মাইলফলক গড়েন ক্রিকেট কিংবদন্তি।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৮ ঘণ্টা, জুন ০৮, ২০২০
ইউবি