ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

নাটকীয় ম্যাচে পাঞ্জাবকে হারালো কলকাতা

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০২০
নাটকীয় ম্যাচে পাঞ্জাবকে হারালো কলকাতা সতীর্থদের সঙ্গে নারাইনের উইকেট উদযাপন

ম্যাচ বাঁচানোর জন্য কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের শেষ বলে দরকার ছিল ৬ রান। সুনীল নারাইনের করা ইনিংসের শেষ বল উড়িয়েও মারলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল।

 

কিন্তু ভাগ্যের কাছে হেরে গেলেন এই অস্ট্রেলিয়ান। ছক্কা হতে হতেও শেষ পযর্ন্ত চার হওয়ায় ম্যাচটি টাই করতে পারলো না পাঞ্জাব। বল উড়ে এসে পড়ে বাউন্ডারি লাইনের সামান্য আগে। তাতেই দুর্দান্ত নাটকীয়তায় ভরা ম্যাচটি ২ রানে জিতে নেয় কলকাতা নাইট রাইডার্স। আর এ নিয়ে চলতি আইপিএলে টানা ৫ ম্যাচে হারলো বলিউড অভিনেত্রী প্রীতি জিনতার মালিকাধীন পাঞ্জাব। ৭ ম্যাচে মাত্র ২ পয়েন্ট নিয়ে তলানিতেই রয়েছে দলটি। অন্যদিকে তাদের চেয়ে এক ম্যাচ কম খেলে ৮ পয়েন্ট নিয়ে তিনে উঠে এসেছে কলকাতা।  

শনিবার (১০ অক্টোবর) আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে কলকাতার দেওয়া ১৬৫ রানের লক্ষ্য ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেটে ১৬২ রানে থেমে যায় পাঞ্জাব। এর আগে কলকাতা ৬ উইকেটে করে ১৬৪ রান।  

টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে কলকাতা। ওপেনার রাহুল ত্রিপাঠির (৪) পরপরই রানআউটের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন নিতিশ রানা (২)। এরপর শুভমান গিল ও ইয়ন মরগান চেষ্টা চালিয়ে যান দলকে খাদ থেকে টেনে তুলতে। দু’জনে গড়েন ৪৯ রানের জুটি।  

রবি বিষ্ণয়ের বলে মরগান (২৪) ফেরেন ম্যাক্সওয়েলের হাতে বন্দি হয়ে। তবে এরপরই দলের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন দীনেশ কার্তিক। কলকাতার অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক রান আউটের শিকার হওয়ার আগে ২৯ বলে করেন ৫৮ রান। তার ঝড়ো ইনিংসটি সাজানো ছিল ৮ চার ও ২ ছক্কায়। তার আগে ৪৭ বলে ৫৭ রান করে রান আউট হোন গিল। শেষদিকে আন্দ্রে রাসেলের ব্যাট থেকে আসে ৫ রান। সমান রানে অপরাজিত ছিলেন প্যাট কামিন্স।  

জয়ের জন্য ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা দুর্দান্ত করে পাঞ্জাব। দুই ওপেনার লোকেশ রাহুল ও মায়াঙ্ক আগরওয়ালের ওপেনিং জুটিতে স্কোরবোর্ডে ১১৫ রান যোগ হয় তাদের। দুই ওপেনারই তুলে নেন ফিফটি। শেষ পযর্ন্ত তাদের এই ভয়ঙ্কর জুটি ভাঙেন প্রসিধ কৃষ্ণ। যিনি কিনা শেষদিকে গুরুত্বপূর্ণ আরও ২ উইকেট নিয়ে কলকাতার জয়ের নায়ক হয়ে রইলেন।  

আগরওয়ালের ৩৯ বলে ৫৬ রানের ইনিংসটি সাজানো ছিল ৬ চার ও ১ ছক্কায়। অন্যদিকে আরেক ওপেনার রাহুলের ব্যাটে জয়ের স্বপ্ন দেখছিল পাঞ্জাব। তবে তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি নিকোলাস পুরান (১৬)। ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যানকে সরাসরি বোল্ড করেন তার স্বদেশি নারাইন।  

এরপর উইকেটরক্ষক শিমরন সিং (৪) ও রাহুলকে বোল্ড করে একপেশে হতে বসা ম্যাচটিকে রুদ্ধশ্বাস করে তুলেন প্রসিধ। পাঞ্জাব অধিনায়ক রাহুলের  ৫৮ বলে ৭৪ রানের ইনিংসটি সাজানো ছিল ৬ চারে।  

ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে নিজের দ্বিতীয় উইকেট তুলে নেন নারাইন। পাঞ্জাবের জয়ের জন্য যখন ২ বলে ৭ রান দরকার তখন ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম বলেই বদলি ফিল্ডার ক্রিস গ্রিনের হাতে বন্দি হোন মানদ্বীপ সিং। ক্রিস জর্ডান নামলেও বলের মুখোমুখি হতে হয়নি।  

অন্তিম দিকে পেন্ডুলামের মতো দোদুল্যমান ম্যাচটির শেষ বলে ছক্কা হাঁকাতে পারলেই পাঞ্জাবকে সুপার ওভারে নিয়ে যেতে পারতেন ম্যাক্সওয়েল। কিন্তু চেষ্টা সত্বেও নারাইনের বলটি অল্পের জন্য সীমানার বাইরে আঁছড়ে ফেলতে পারেননি অজি অলরাউন্ডার।  

বাংলাদেশ সময়: ২০০১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০২০
ইউবি 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।