সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট জিতে সমতায় ফিরতে বাংলাদেশকে করতে হবে ২৩১ রান। তবে এই লক্ষ্যে শুরুটা ভালো করলেও এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় স্বাগতিকরা।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৩৪ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ১১৬ রান করেছে বাংলাদেশ। জয় পেতে আরও ১১৫ রান করতে হবে।
এর আগে দ্বিতীয় সেশন শেষে চা-পানের বিরতির আগে রাহকিম কর্নওয়ালের বলে উইকেট বিলিয়ে দেন পুরো সিরিজে বাজে খেলা নাজমুল হোসেন শান্ত। ৩১ বলে ১১ রান করেছেন তিনি।
সৌম্য সরকারের পর হাফসেঞ্চুরি করে দ্রুতই ফেরেন তামিম ইকবাল। সৌম্যর মতো অনিয়মিত বোলার ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েটেরে শিকারে পরিণত হন তিনি। আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ৪৬ বলে ৯টি চারে ৫০ করেন তামিম। এটি তার টেস্ট ক্যারিয়ারের ২৮তম ফিফটি।
উদ্বোধনী জুটিতে ১২ ওভার শেষে ৫৯ রান ওঠে। তবে এরপরেই ফিরে যান সৌম্য সরকার। ব্যক্তিগত ১৩ রান করে তিনি ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েটের বলে রাহকিম কর্নওয়ালকে ক্যাচ দেন।
এর আগে মধ্যাহ্ন বিরতি থেকে ফিরে উইন্ডিজ শিবির গুটিয়ে দেন তাইজুল ইসলাম ও নাঈম হাসান। নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ১১৭ করতে পেরেছে ক্যারিবীয়রা।
বিরতি থেকে ফিরে জোসুয়া দা সিলভাকে (২০) সৌম্য সরকারের ক্যাচে ফেরান তিনি। ব্যক্তিগত ৯ রানে থাকা আলজারি জোসেফকে নাজমুল হোসেনের তালুবন্দি করান তাইজুল।
এরপর উইকেটে ঘূর্ণি দেখান নাঈম। দেওয়াল হয়ে থাকা এনক্রুমাহ বোনারকে ৩৮ রানে বোল্ড করেন। আর শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে রাহকিম কর্নওয়ালের মুশফিকুর রহিমের দুর্দান্ত ক্যাচে ফেরান।
এর আগে তাইজুল ইসলামের শিকারে ফেরেন জারমেইন ব্ল্যাকউড। ব্যক্তিগত ৯ রানে থাকা এই ব্যাটসম্যানকে তাইজুলের বলে স্টাম্পিং করে ফেরান উইকেটরক্ষক লিটন দাশ।
চতুর্থ দিনের শুরুতেই ওয়েন্ট ইন্ডিজের দ্বিতীয় ইনিংসে জোড়া আঘাত করেন আবু জায়েদ রাহি। ক্যারিবীয়দের চতুর্থ ও পঞ্চম উইকেটের পতন করলেন এই পেসার। ব্যক্তিগত ২ রানে থাকা জোমেল ওয়ারিক্যানকে এলবির ফাঁদে ফেলেন এই পেসার। কিছুক্ষণ পরেই প্রথম টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরি করা কাইল মায়ার্সকে ৬ রানে ফেরান সেই এলবিতেই।
রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের দ্বিতীয়টিতে শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চতুর্থ দিনের খেলায় মাঠে নামে দু’দল।
এর আগে ক্যারিবীয়রা নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৪০৯ রান করে। জবাবে ২৯৬ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২১
এমএমএস