বর্ণবাদ বিতর্কে জেরবার ইংল্যান্ডের ক্রিকেট। অলি রবিনসনের পর একের পর এক ইংলিশ ক্রিকেটারদের পুরনো বিদ্বেষপূর্ণ টুইট ভাইরাল হওয়ার পর এই অবস্থা।
রবিনসনের পর বিদ্বেষমূলক ট্যুইট করার দায়ে নাম উঠে এসেছে জশ বাটলার, ইয়ন মর্গ্যান, ব্রেন্ডন ম্যাককালাম, ম্যাট পার্কিনসন, জেমস আন্ডারসনের মতো তারকা ক্রিকেটারদের। বিষয়টি নিয়ে ক্রিকেটবিশ্বে ঝড় বয়ে যাচ্ছে।
তবে ইংলিশ ক্রিকেটারদের বর্ণবিদ্বেষমূলক আক্রমণ নাকি নতুন কিছু নয়। অনেক আগে থেকেই নাকি এসব চলছে। ফারুখ ইঞ্জিনিয়ার অন্তত তেমনটাই জানালেন। সেই সঙ্গে তার মত, দিন পাল্টে গেছে। এখন অর্থের লোভে ইংলিশ ক্রিকেটাররা নাকি ভারতীয়দের পা চাটতেও রাজি।
একসময় ল্যাঙ্কাশায়ারের হয়ে কাউন্টি খেলতেন ফারুখ। ইংল্যান্ডে খেলার সময় তাকেও নাকি বর্ণবিদ্বেষমূলক আক্রমণ করা হতো। তার ইংরেজি বলার ধরন নিয়ে কিংবা গায়ের বর্ণ ‘কুৎসিত’ বলে বহুবার কটু মন্তব্যও শুনতে হয়েছে তাকে।
ফারুখ বলেন, 'যখন কাউন্টি ক্রিকেট খেলতে প্রথম ইংল্যান্ডে যাই, তখন সবাই বলত, সে কি ভারত থেকে এসেছে? ল্যাঙ্কাকাশায়ারে খেলার সময় দু-একবার এমন ঘটনার সম্মুখীন হই। আমার ব্যক্তিগত জীবন-যাপন নিয়ে নয়, তবে ভারত থেকে যাওয়ায় আমাকে নিয়ে এবং আমার ইংরেজি উচ্চারণ নিয়ে তুমুল হাসি-ঠাট্টা হতো। '
ষাটের দশকের শুরুর দিকে কাউন্টি ক্রিকেট খেলতে ইংল্যান্ডে পাড়ি দিয়েছিলেন ভারতের সর্বকালের অন্যতম সেরা এই উইকেরক্ষক-ব্যাটসম্যান। তাকে নিয়ে তামাশা করা হলে তিনিও পাল্টা জবাব দিতেন। তিনি বলেন, 'আমার ইংরেজি অনেক ইংরেজদের থেকেও ভালো। তারা বুঝতে পেরেছিল, একে চটানো ঠিক হবে না! আমি সঙ্গেসঙ্গেই তাদের পাল্টা জবাব দিতাম। শুধু তাই নয়, ব্যাট-গ্লাভস দিয়েও তাদের জবাব দিতাম। '
ফারুখ ইঞ্জিনিয়ারের মতে, আইপিএল শুরু হওয়ার পর ইংল্যান্ডের ক্রিকেটাঙ্গনে ভারতীয়দের সম্পর্কে দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন ঘটেছে। তার ভাষায়, 'কয়েক বছর আগে পর্যন্তও তাদের কাছে আমরা ব্লাডি ইন্ডিয়ান্স ছিলাম। তবে আইপিএল শুরু হওয়ার পর হঠাৎ তারা নিজেদের সুর বদলে ফেলেছে। ভাবতেও আশ্চর্য লাগে, স্রেফ অর্থের জন্য তারা আমাদের বুট চাটতেও রাজি!'
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৩ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০২১
এমএইচএম