ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

আলোর স্বল্পতায় দিনের খেলা শেষ, ৭৫ রানের লিড দ. আফ্রিকার

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২, ২০২২
আলোর স্বল্পতায় দিনের খেলা শেষ, ৭৫ রানের লিড দ. আফ্রিকার

৬৯ রানের লিড নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং শুরু করলেও বৃষ্টির কারণে খেলা স্থগিত হয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর বৃষ্টি থামলেও আলোর স্বল্পতায় দিনের খেলা ১৭ ওভার বাকি থাকতেই সমাপ্তি টেনে দেন আম্পায়াররা।

বৃষ্টি নামার আগে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে বিনা উইকেটে ৬ রান তুলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। চতুর্থ দিনে ৭৫ রানের লিড নিয়ে ব্যাট করবে স্বাগতিকরা।  

ডারবান টেস্টের তৃতীয় দিনে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস থেমেছে ২৯৮ রানে। ইনিংস ওপেন করতে নেমে একপ্রান্ত আগলে রাখার দারুণ এক সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন মাহমুদুল হাসান জয়। ধৈর্যশীল ব্যাটিংয়ের ফলাফল পেয়েছেন হাতেনাতেই। তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি, যা আবার প্রোটিয়াদের বিপক্ষেই টেস্টে বাংলাদেশি কোনো ব্যাটারের প্রথম। আর তাতে ভর করে তিনশ ছুঁইছুঁই সংগ্রহ পায় টাইগাররা।

এদিকে সকালের সেশনে আজ স্পিননির্ভর আক্রমণ শানায় দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু কালকের মতো আজ সাফল্য আসেনি। সকালে তাসকিন (১) বিদায় নেওয়ার পর উইকেটে জেঁকে বসেন লিটন ও জয়। ১০১ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর দুজনে মিলে দারুণ এক জুটিও গড়েন। তাদের জুটির কারণেই প্রথম সেশনে ১ উইকেট হারিয়ে ৮৫ রান তোলে বাংলাদেশ।

জয় ১৭০ বলে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্ট ফিফটি তুলে নেন। অন্যপ্রান্তে লিটন দুইবার জীবন পেয়েও ফিফটি মিস করেন। প্রথমে ব্যক্তিগত ১৬ রানেই স্লিপে ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন তিনি। তবে সেখানে দাঁড়ানো এলগার ক্যাচ মিস করেন। পরে ব্যক্তিগত ৩৯ রানে ক্যাচ মিস হয় লেগ স্লিপে। তা সত্ত্বেও দ্বিতীয় সেশনের শুরুতেই বিদায় নেন তিনি; প্রোটিয়া স্পিনার লিজাড উইলিয়ামসের বলে বোল্ড হয়ে। লিটন থামেন ৯২ বলে ৪১ রান করে।  

লিটন ও জয়ের জুটিতে আসে ৮২ রান। তবে লিটন ব্যর্থ হলেও জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েছেন। এর আগে ২০১৭ সালে পচেফস্ট্রমে মুমিনুল হকের ৭৭ ছিল সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। দলনেতাকে ছাড়িয়ে সেঞ্চুরির পথে ছুটতে থাকেন জয়। জয়কে ভালোই সঙ্গ দিচ্ছিলেন ইয়াসির আলী রাব্বি। কিন্তু জুটিতে ৩৩ রান আসার পর ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হয়ে ফেরেন তিনি (২২)।  

অন্যপ্রান্তে সতীর্থ ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মাঝে একমাত্র ব্যতিক্রম মাহমুদুল হাসান জয়। একপ্রান্ত আগলে রাখার পাশাপাশি দিনের দ্বিতীয় ভাগে টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন তরুণ এই ওপেনার। ২৬৯ বলের মোকাবিলায় তার সেঞ্চুরি দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশি ব্যাটারদের মধ্যে প্রথম। এর আগে মুমিনুল হককে ছাড়িয়ে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে এই ফরম্যাটে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসের মালিকও হয়েছেন তিনি।

সেঞ্চুরি তুলে নেওয়া জয়ের সঙ্গে ৫১ রানের জুটি গড়েন মিরাজ। ৮১ বলে ২৯ রানের ইনিংস খেলে ফেরেন মিরাজ; বাউন্ডারি হাঁকান ৪টি, ছক্কা ১টি। এরপর দ্রুত গুঁটিয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। ৭ বল খেলে বিদায় নেন খালেদ। শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হওয়ার আগে জয় করেন ১৩৭ রান। ৪৪৩ মিনিট স্থায়ী এই ইনিংসে তিনি বল খেলেছেন ৩২৬টি; চার হাঁকিয়েছেন ১৫টি, ছক্কা ২টি।

বল হাতে দক্ষিণ আফ্রিকার সাইমন হার্মার ৪টি, লিজাড উইলিয়ামস ৩টি এবং ডুয়ানে অলিভিয়ের ও উইয়ান মুল্ডার ১টি করে উইকেট নিয়েছেন।

এর আগে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৩৬৭ রান সংগ্রহ করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাবে ৪ উইকেট হারিয়ে ৯৮ রান তুলে দিন শেষ করে বাংলাদেশ। ৪টি উইকেটই গিয়েছিল সাইমন হারমারের ঝুলিতে। দিন শেষে ৪৪ রানে জয় এবং নাইটওয়াচম্যান তাসকিন শূন্য রানে অপরাজিত ছিলেন।  

বাংলাদেশ সময়: ২১০১ ঘণ্টা, এপ্রিল ০২, ২০২২
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।