ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

৪১২ রানের লিড নিয়ে ইনিংস ঘোষণা দ. আফ্রিকার

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০২২
৪১২ রানের লিড নিয়ে ইনিংস ঘোষণা দ. আফ্রিকার

অনুমিতভাবেই বাংলাদেশের সামনে বিশাল লক্ষ্য ছুড়ে দিল দক্ষিণ আফ্রিকা।  

ম্যাচে দ্বিতীয়বারের মতো ব্যাটিংয়ে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭৬ রান তুলতেই ইনিংস ঘোষণা করেছে প্রোটিয়ারা।

ফলে তাদের লিড দাঁড়িয়েছে ৪১২ রানের। বাংলাদেশকে এখন জয় পেতে ৪১৩ রান করতে হবে। তৃতীয় দিনের খেলা বাকি প্রায় ১৪ ওভার।  

বাংলাদেশকে ২১৭ রানে গুঁটিয়ে দেওয়ার পর ২৩৬ রানে এগিয়ে থেকে ফের ব্যাটিংয়ে নামে এলগারবাহিনী। যদিও টাইগারদের ফলোঅন করানোর সুযোগ ছিল তাদের সামনে। ফের ব্যাটিংয়ে নেমে দুই ওপেনার এরউই ও ডিন এলগার মিলে তুলে ফেলেন ৬০। দ্রুতগতিতে রান তুলছিলেন তারা। এলগারকে বোল্ড করে এই জুটি ভাঙেন তাইজুল। প্রোটিয়া দলপতির ব্যাট থেকে আসে ২৯ বলে ২৬ রানের ইনিংস।

এলগারের বিদায়ের পর হাল ধরেন এরউই ও কিগান পিটারসেন। কিন্তু তাদের জুটিতে বড় হতে দেননি তাইজুল। দ্বিতীয় সেশনের একদম শেষ বলে পিটারসেনকে (১৪) লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন এই বাঁহাতি স্পিনার। যদিও রিভিও নিয়েছিলেন পিটারসেন, কিন্তু আম্পায়ার্স কল হওয়ায় সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের পক্ষেই যায়। এরপর ৬ রান যোগ হতেই বিদায় নেন এরউই (৪১)। খালেদ আহমেদের শিকার হওয়ার আগে এরউই ৬৬ বলে ৫ চারে ৪১ রানের ইনিংস খেলেন।  

এরপর রায়ান রিকেলটনকে (১২) বেশিদূর যেতে দেননি তাইজুল। তাকে মুমিনুলের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান এই বাঁহাতি স্পিনার। ইনিংসে এটি তার তৃতীয় ও ম্যাচে নবম উইকেট শিকার। কিন্তু টেম্বা বাভুমা ও কাইল ভেরেইনে মিলে ফের প্রোটিয়া ইনিংসের চাকা সচল রাখেন। দুজনে মিলে ৩৫ রানের জুটি গড়েন। বাভুমাকে (৩০) ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন মিরাজ। পরে উইয়ান মুলডারকে (৬) বোল্ড করে ফেরান এই ডানহাতি স্পিনার। এরপরই ইনিংস ঘোষণা করে দক্ষিণ আফ্রিকা।

সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের তৃতীয় দিনে আজ রোববার পোর্ট এলিজাবেথে বৃষ্টির কারণে খেলা কিছুটা বিলম্বে শুরু হয়। খেলা শুরু হওয়ার পর দারুণ শুরু পায় বাংলাদেশ। আগের দিন যেখানে উইকেট পতনের মিছিল চলছিল, সেখানে আজ সকালে বেশ অনায়াসেই রান তুলেছেন মুশফিক ও রাব্বি। এর মধ্যে দিনের প্রথম ওভারেই টানা ৩ বাউন্ডারি হাঁকান রাব্বি।  

মুশফিক ও রাব্বি দুজনেই ছুটছিলেন ফিফটির পথে। কিন্তু ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্ট ফিফটি থেকে মাত্র ৪ রান দূরে থামলেন রাব্বি। প্রোটিয়া স্পিনার কেশভ মহারাজের বলে কট অ্যান্ড বোল্ড হয়ে ফেরার আগে রাব্বির ব্যাট থেকে আসে ৮৭ বলে ৪৬ রান। বিদায়ের আগে মুশফিকের সঙ্গে তার জুটিত ৭০ রান যোগ হয়।  

রাব্বির বিদায়ের পর মেহেদি হাসান মিরাজকে নিয়ে ইনিংস মেরামতের চেষ্টা করেন মুশফিক। ক্যারিয়ারের ২৫তম ফিফটির দেখাও পান তিনি। কিন্তু হার্মারের বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ফিফটি পার করলেও এক বল পরেই অযথা সুইপ শট খেলতে গিয়ে বোল্ড হয়ে ফেরেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার। লাঞ্চ বিরতির ঠিক আগের ওভারে বিদায় নেওয়ার আগে মুশফিক ১৩৬ বলে ৮ চারে ৫১ রান করেন। এরপর ব্যাট হাতে বেশিক্ষণ থিতু হতে পারেননি আর কেউই। তাইজুল ৫, মিরাজ ১১ ও এবাদত শূন্য রানে বিদায় নেন।

বল হাতে দক্ষিণ আফ্রিকার হার্মার ও মুলডার ৩টি করে এবং ডুয়ানে অলিভিয়ের ও কেশভ মহারাজ ২টি করে উইকেট নিয়েছেন।

এর আগে চার ব্যাটারের ফিফটিতে ভর করে সব উইকেট হারিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংসের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৪৫৩ রান। স্বাগতিকদের হয়ে সর্বোচ্চ ৮৪ রান আসে মহারাজের ব্যাট থেকে। বল হাতে বাংলাদেশের স্পিনার তাইজুল ইসলাম একাই নেন ৬ উইকেট। ৩ উইকেট নেন পেসার খালেদ আহমেদ।  

জবাবে ৫ উইকেটে ১৩৯ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন পার করে বাংলাদেশ। ওপেনার তামিম ইকবালের ব্যাট থেকে আসে ৪৭ রান এবং তিনে নামা নাজমুল হোসেন শান্ত করেন ৩৩ রান। দিন শেষে মুশফিক ৩০ রানে এবং ইয়াসির ৮ রানে অপরাজিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০২২
এমএইচএম 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।