ঢাকা, বুধবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ মে ২০২৪, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫

ক্রিকেট

স্বপ্ন টিকিয়ে রেখে তৃতীয় দিন শেষ বাংলাদেশের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, স্পোর্টস | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩৪৭ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০২২
স্বপ্ন টিকিয়ে রেখে তৃতীয় দিন শেষ বাংলাদেশের

বাংলাদেশ কি জিততে পারে? সম্ভাবনা ক্ষীণ। তবুও একদম ছিটকে দেওয়া যাচ্ছে না মাঝ থেকে, এটাই বোধ হয় দিনের একটি ভালো সেশনের প্রাপ্তি।

জাদুকরি কিছুর স্বপ্ন নিয়েই চতুর্থ দিন শুরু করবে বাংলাদেশ।  

অ্যান্টিগার স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে তৃতীয় দিনশেষে জয়ের জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের লাগবে ৩৫ রান। ৩ উইকেট হারিয়ে ৪৯ রান করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রথম ইনিংসে ১০৩ রানে অলআউট হওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ২৪৫ রান করে বাংলাদেশ।

৮৪ রানের লক্ষ্য নিয়ে খেলতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বেশ ভালোভাবেই চেপে ধরেছিল টাইগাররা। এর পুরো কৃতিত্বটাই অবশ্য পেসার খালেদ আহমেদের। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের একদম প্রথম বলে ব্যাক অব লেন্থ বল করেন তিনি, উইকেটের পেছনে ক্যাচ তুলে দেন ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট। ২ বলে ১ রান করেন তিনি।  

ওই ওভারের পঞ্চম বলেই রেয়মন রিপারকে পরাস্ত করেন খালেদ। ৪ বলে ২ রান করেন তিনি। নিজের পরের ওভারে এসে বাংলাদেশকে আবারও সাফল্য এনে দেন খালেদ।

এবার তার শিকার হন এনক্রুমাহ বোনার। ৬ বলে ০ রান করা এই ব্যাটারকে বোল্ড করে দেন খালেদ। কিন্তু এরপরই জুটি গড়ে ফেলেন জন ক্যাম্পবল ও জারমান ব্ল্যাকউড। দুজনের জুটিতে এসেছে ৪০ রান। ক্যাম্পবল ৪২ বলে ২৮ ও ৩৬ বলে ১৭ রান নিয়ে ব্ল্যাকউড চতুর্থ দিন শুরু করবেন।  

এর আগে ৫০ রানে ২ উইকেট নিয়ে তৃতীয় দিন শুরু করেন নাজমুল হাসান শান্ত ও মাহমুদুল হাসান জয়। ১১২ রানে পিছিয়ে থেকে খেলতে নামা বাংলাদেশের ব্যাটারদের দরকার ছিল ধৈর্য ও স্থিরতা।

কিন্তু নাজমুল হাসান শান্ত করেন তার উল্টোটা। আক্রমণাত্মক খেলে দুটি বাউন্ডারিও হাঁকান তিনি। কিন্তু কাইল মেয়ার্সের কাছে শেষ অবধি পরাস্ত হতে হয়েছে তাকে। টানা পাঁচ বল আউট সুইং করে শেষ বলটি ভেতরে ঢুকান মেয়ার্স। ওই বলে শট খেলতে গিয়ে উইকটের পেছনে ক্যাচ তুলে দেন শান্ত। ৪৫ বলে ১৭ রান করে ফেরেন সাজঘরে।

এরপর ক্রিজে বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি অফ ফর্মে থাকা আরেক ব্যাটার মুমিনুল হকও। মেয়ার্সের গুড লেন্থের বল ডিফেন্ড করতে গিয়ে ব্যাটে লাগাতে পারেননি মুমিনুল, বল লাগে তার প্যাডে। আম্পায়ারের এলবিডব্লিউয়ের সিদ্ধান্ত রিভিউ নিয়েও বদলাতে পারেননি মুমিনুল।  

৫ নম্বরে খেলতে নামা লিটন কুমার দাস বেশ আত্মবিশ্বাসী শুরুই করেছিলেন। হাঁকিয়েছিলেন তিনটি বাউন্ডারিও। কিন্তু ১৫ বলে ১৭ রান করে তিনিও স্লিপে ক্যাচ দিয়ে আউট হন কেমার রোচের বলে।  

মধ্যাহ্নভোজের আগে বাংলাদেশের হতাশাটা আরও বাড়ান মাহমুদুল হাসান জয়। উইকেটের অন্য প্রান্তে ব্যাটারদের আসা-যাওয়া থাকলেও জয় ছিলেন বেশ স্থির। কিন্তু তিনিও শেষ অবধি উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েই আউট হন। এর আগে ১৫৩ বলে ৪২ রান করেন তিনি। এরপরই দলের হাল ধরেছেন সাকিব ও সোহান। দ্বিতীয় সেশনে কোনো উইকেট না হারিয়েও ৯৫ রান যোগ করে বাংলাদেশ।

আক্রমণাত্মক অথচ নিয়ন্ত্রিত সব শটে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেন সাকিব। সোহান মাঝেমধ্যে গড়বড় করলেও ঠিকঠাকই সঙ্গ দিচ্ছিলেন সাকিবকে। কিন্তু বাংলাদেশের দারুণ চলতে থাকাটা থমকে যায় দ্বিতীয় নতুন বল নেওয়ার পর। কেমার রোচের বলে ব্র্যাথওয়েটের হাতে ক্যাচ দেন দেন সাকিব। ভেঙে যায় তার সঙ্গে সোহানের ১২৩ রানের জুটি।  

৬ চারের ইনিংসে ৯৯ বলে ৬৩ রান করে আউট হন সাকিব। এরপর সোহানও ১১ চারে ১৪৭ বলে ৬৪ রান করে আউট হয়ে যান।  বাংলাদেশের অলআউট হতে বেশিক্ষণ সময় লাগেনি এরপর। ২৪৫ রানেই অলআউট হয় সফরকারীরা। ২৪ ওভার ৫ বল হাত ঘুরিয়ে ৫৩ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেন কেমার রোচ।

বাংলাদেশ সময় : ০৩৪৭, জুন ১৯, ২০২২
এমএইচবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।