এর আগে তার পুরো ক্যারিয়ারেই পাঁচ উইকেট এসেছিল একবার। সেটাও লিস্ট এ ক্রিকেটে।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয়টিতে পাঁচ উইকেট পেয়েছেন মোসাদ্দেক। দলকে জিতিয়ে হয়েছেন ম্যাচ সেরাও। ৪ ওভারে ২০ রান খরচ করে পাঁচ উইকেট নেন মোসাদ্দেক। একই রকম বোলিং ফিগার ছিল সাকিব আল হাসানেরও।
২০১৮ সালে মিরপুরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২০ রান খরচে পাঁচ উইকেট নেন তিনি। দেশসেরা বোলিং ফিগারের তালিকায় সাকিবের পাশে নাম থাকায় নিজেকে সৌভাগ্যবান বলছেন মোসাদ্দেক। দেশের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে সেরা বোলিং ফিগার অবশ্য ইলিয়াস সানির। এই স্পিনার আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ১৩ রানে নিয়েছিলেন পাঁচ উইকেট।
ম্যাচশেষে সংবাদ সম্মেলনে মোসাদ্দেক বলেছেন, ‘দেখেন, সাকিব ভাইকে নিয়ে তো সবসময় সবাই এই কথা বলে যে- তাকে নিয়ে অনেক বেশি কথা বলার কিছু নেই। সবাই জানে সে এই খেলার কিংবদন্তি। অবশ্যই তার যে ইকোনমি আর পাঁচ উইকেট আছে, সেটা আমারও আছে, ওই দিক থেকে আমি অনেক ভাগ্যবান। ’
মোসাদ্দেককে সবসময়ই ভাবা হয় বোলিংয়ের বিকল্প হিসেবে। অনেক ম্যাচে বল হাতে কোটা পূরণ করেন না তিনি। মোসাদ্দেক অবশ্য বলছেন, নিজেকে সবসময়ই দলের মূল বোলার হিসেবে ভাবেন তিনি। রান আটকে রাখার পরিকল্পনা থেকেই এসেছে সাফল্য, জানিয়েছেন তেমনটি।
মোসাদ্দেক বলেছেন, ‘এই কথাটা অনেক আগে থেকেই বলে আসছি, আমি যখন বল করি কখনও ভাবি না অকেশনাল বোলার। সবসময় আমি ওই দায়িত্বটা নেওয়ার চেষ্টা করি বোলিংয়ের সময় যে আমি মেইন বোলার হয়ে বল করছি। ’
‘উইকেটটা যদি আপনি খেয়াল করেন, বোলারদের জন্য খুব সাহায্য ছিল, আমি সেটা বলব না। অবশ্যই খুব ভালো উইকেট ছিল। আমার মাথায় একটা জিনিস কাজ করছিল, অধিনায়ক যখন আমাকে বল দিয়েছে, বলেছে রানটা যেন আটকে রাখতে পারি প্রথম থেকে। আগের দিন দেখেছি এখানে ২০০ রান হয়েছে, ওই জায়গা থেকে আমরা পরিকল্পনা করেছি ১৬০-৭০ এর মধ্যে যদি রাখতে পারি দলের জন্য ভালো। ওই পরিকল্পনাটাই ছিল। ’
বাংলাদেশ সময় : ২২১৫, জুলাই ৩১, ২০২২
এমএইচবি