ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

ক্রিকেট

স্পিনারদের নো-বল করাই অপরাধ: সাকিব

স্পোর্টস ডেস্ক  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২, ২০২২
স্পিনারদের নো-বল করাই অপরাধ: সাকিব

এশিয়া কাপ থেকে ব্যর্থতা সঙ্গী করে ফিরছে বাংলাদেশ দল। প্রথমে আফগানিস্তান, এরপর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হারের তেতো স্বাদ নিয়ে সুপার ফোরের আশা শেষ হয়েছে টাইগারদের।

লঙ্কানদের বিপক্ষে লড়াইটা অবশ্য গড়িয়েছে শেষ ওভার পর্যন্ত।  

তবে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের মতে, শেষদিকে চাপ নিতে না পারার কারণেই 'ডু অর ডাই' ম্যাচে ভরাডুবি হয়েছে। ম্যাচে ৮টি ওয়াইড ও ৪টি নো-বল করেছেন টাইগার বোলাররা। এর মধ্যে ম্যাচে শ্রীলঙ্কার সর্বোচ্চ স্কোরার কুশল মেন্ডিস (৬০)-কে ইনিংসের সপ্তম ওভারে নো-বল উপহার দেন বাংলাদেশি স্পিনার মেহেদি হাসান। ওই বলে নিশ্চিত আউট জেনেই ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে যান কুশল। কিন্তু থার্ড আম্পায়ার রিপ্লে দেখে নো-বলের সিদ্ধান্ত দেন। পরে মেন্ডিস ব্যাট হাতে সুযোগটা দারুণভাবে কাজে লাগান।

এরপর ইনিংসের শেষ ওভারেও অফ-স্পিনার মেহেদি নো-বল করেন। ওই রানের কারণে জয় নিশ্চিত হয়ে যায় শ্রীলঙ্কার। বাংলাদেশ দলের ভুলের সংখ্যা অবশ্য এখানেই শেষ নয়। মেন্ডিস যখন মাত্র দুই রানে ব্যাট করছিলেন, তখন পেসার তাসকিন আহমেদের বলে ক্যাচ ফেলে দেন উইকেটকিপার মুশফিকুর রহিম। এমনকি মুশফিক পরে ক্যাচ নিয়েও নিজে নিশ্চিত না হওয়ায় রিভিও নিতে বলেননি। পরে রিপ্লেতে দেখা যায়, বল ব্যাটের কানায় লেগেই মুশির গ্লাভসবন্দি হয়েছিল। ম্যাচ শেষে এসব বিষয়ে বেশ খোলামেলা কথা বলেছেন সাকিব।
 
সংবাদ সম্মেলনে সাকিব বলেন, 'কোনো অধিনায়কই নো-বল চায় না। আর একজন স্পিনার নো-বল করাই অপরাধ। আমরা অনেক বেশি নো-বল এবং ওয়াইড বল করেছি এবং এটাকে কিছুতেই গোছানো বোলিং বলা যায় না। এটা চাপের ম্যাচ এবং এই ম্যাচ থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে এবং এখান থেকেই এগিয়ে যেতে হবে। ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট হতে পারে যখন আমাদের ব্যাটাররা (গুরুত্বপূর্ণ সময়ে) আউট হয়েছে এবং স্পিনারদের নো-বল করাই অপরাধ। এটাই প্রমাণ হলো যে, চাপের মুখে আমরা কীভাবে ভেঙে পড়ি। আমাদের দক্ষতার উন্নতি করে হবে, কিন্তু আমরা চাপে পড়লেই ভেঙে পড়ি এবং ম্যাচ হেরে বসি। ডেথ ওভার নিয়ে আমাদের অনেক কাজ করতে হবে। ' 

তবে সাকিব এই ম্যাচ থেকেও ইতিবাচক অনেক কিছু খুঁজে পেয়েছেন। যেমন- এবাদত হোসেনের বোলিং। অভিষেক টি-টোয়েন্টিতে ৩ উইকেট পেয়েছেন তিনি। যদিও রান খরচ করে ফেলেছেন ৫১টি। তবে এমন চাপের মুহূর্তে এর আগে কখনো খেলতে হয়নি তাকে। সাকিবের মতে, এই ম্যাচের অভিজ্ঞতা এবাদতের পরবর্তী সময়ে কাজে লাগবে। সেই সঙ্গে আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দলে ৪-৫ জন পেসারের প্রয়োজনীয়তাও উপলব্ধি করছেন টাইগার দলপতি।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০২, ২০২২
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।