সিলেট থেকে: প্রায় প্রতি ম্যাচেই দেখা গেছে দৃশ্যটি। থাইল্যান্ড, মালেশিয়া অথবা সংযুক্ত আরব আমিরাতের মেয়েরা হেরে হাসছেন, ছবি তুলছেন, পরামর্শও নিচ্ছেন প্রতিপক্ষ দলের বড় ক্রিকেটারদের কাছ থেকে।
দুই দলই এক পয়েন্ট নিয়ে বের হয়েছে। অথচ দৃশ্য পুরোপুরি আলাদা। সংযুক্ত আরব আমিরাতের মেয়েরা বের হয়েছে হাসিমুখে। বাংলাদেশের আতিথেয়তা, নিরাপত্তার কৃতজ্ঞতার ছাপও দেখা মিলেছে তাদের কাজে। টিম বাসের একটু দূরে দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশের গাড়ির সামনে ক্রিকেটাররা গিয়েছেন নিজে থেকে।
প্রথমে এক-দুজন, পরে দলের ক্রিকেটার-স্টাফ সবাই মিলে ছবি তুলেছেন পুলিশের সঙ্গে। নিয়ে আসা ক্যামেরা অন্য একজনের হাতে দিয়ে মুহূর্তটা নিজের বন্দি করে রেখেছেন তারাও। টুর্নামেন্টে ছয় ম্যাচের কেবল একটিতে জিততে পেরেছে, তাতে যেন তাদের থোড়াই কেয়ার।
আমিরাতের মেয়েদের মিনিট দশেক পরই বেড়িয়েছে বাংলাদেশ। ততক্ষণে বৃষ্টি তাদের স্বপ্ন ধুয়েমুছে নিয়ে গেছে বহুদূরে। সংবাদকর্মীদের অপেক্ষার অবসান করে যখন তারা বের হয়েছেন, সবাই বিমূর্ষ। আধার নেমে আসা সেসব চেহারায় মেঘের প্রতি অভিমান। একটু আগে বা পরে এলে কী এমন হতো, এমন আফসোস!
তবে ওই অঙ্ক করলে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে বাংলাদেশকেও। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই তো তাদের সামনে সুযোগ ছিল সেমিফাইনাল নিশ্চিত করার। কিন্তু ৪২ বলে ৪১ রান করতে পারেনি সব উইকেট হাতে রেখেও। এক ওভারেই হারিয়েছে চার উইকেট। আমিরাতের বিপক্ষে তাই জয়ের বিকল্প ছিল না কিছুই। বৃষ্টি তা ভাসিয়ে নিয়ে গেছে। ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ায় সেমিতে চলে গেছে থাই মেয়েরা।
বাংলাদেশের ব্যর্থতা ভাবনায় নিয়ে থাইল্যান্ডের মেয়েদের পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়ের দিকে তাকালে যোগ্য দল হিসেবেই থাইল্যান্ড উঠেছে বলে বিশ্বাস করা যায়। তবুও স্বাগতিক হওয়ার সুবিধা, টুর্নামেন্টের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আত্মবিশ্বাস; দুই মিলিয়ে টাইগ্রেসদের নিয়ে প্রত্যাশার পারদ ছিল বেশ উঁচু।
হতাশায় শেষ হয়েছে সেটি। সিলেটের বৃষ্টির সঙ্গে ভেসে গেছে অনেক অনেক স্বপ্নও। মঙ্গলবার ভরদুপুরেও যেমন স্টেডিয়ামের ফ্লাডলাইট জ্বালাতে হয়েছে- এই আলোতে অবশ্য লুকানো যাচ্ছে না মাঠ কর্মী, দর্শক, কর্মকর্তা-কর্মচারী কিংবা প্রেসবক্সে নেমে আসা অদ্ভূত শূন্যতা!
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০২২
এমএইচবি/এমএইচএম