উদ্বোধনী জুটি নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা কম হয়নি। ত্রিদেশীয় সিরিজের শুরুর দিকে সাব্বির রহমান ও মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়ে চেষ্টা করে হয়েছিল।
বিশ্বকাপের দুই ম্যাচেই বাংলাদেশের ইনিংসের শুরু করেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও সৌম্য সরকার। খুব একটা মন্দ শুরু এনে দেননি তারা। তাহলে কি বহুল প্রতীক্ষার পর কাঙ্ক্ষিত উদ্বোধনী জুটি খুঁজে পাওয়া গেছে? জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচের আগে প্রশ্নটি ছিল টেকনিক্যাল পরামর্শক শ্রীধরন শ্রীরামের কাছে। তিনি বলছেন, এটা সৌম্য ও শান্তর জন্য শেখার প্রক্রিয়া।
শ্রীরাম বলেছেন, ‘আমি মনে করি ভালো করছে। উদ্বোধনী জুটিতে ৪৭ (মূলত ৪৩), দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২৬। আমি মনে করি উদ্বোধনী জুটি ভালোই করছে। আরও বেশি যখন খেলবে তখন আরও অভিজ্ঞ হবে, একসঙ্গে যত বেশি খেলবে, ভিন্ন জায়গা, প্রতিপক্ষের বিপক্ষে, ভিন্ন কন্ডিশনে খেলবে আরও শিখবে। দক্ষিণ আফ্রিকার রাইলি রুশো ও কুইন্টন ডি কক যেভাবে খেলল, যে ইমপ্যাক্ট রাখলো, যা নিয়ে আমরা কথা বলছি সে দিক থেকে শান্ত ও সৌম্যের জন্য শেখার প্রক্রিয়া এটি। ’
অনেক আশা নিয়েই টি-টোয়েন্টিতে টেকনিক্যাল পরামর্শক শ্রীরামকে নিয়ে এসেছিল বাংলাদেশ। যদিও অল্প সময়ের জন্য দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি। তবে এশিয়া কাপ, ত্রিদেশীয় সিরিজে তার অধীনে কোন ম্যাচে জিততে পারেনি। বিশ্বকাপে এসে নেদারল্যান্ডসকে হারালেও প্রোটিয়াদের বিপক্ষে এসেছে বড় হার। প্রত্যাশার কতটুকু মেটাতে পেরেছেন শ্রীরাম?
এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, ‘আপনার প্রত্যাশা কি? আমরা মূলত একটা দল হিসেবে গড়ে ওঠার চেষ্টা করছি। সে দিক থেকে সবকিছু ইতিবাচক। ছেলেদের আত্মবিশ্বাস বাড়ছে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য নিজেদের আরও শক্ত করছে, তারা জানে তাদের কোথায় যেতে হবে। অল্প সময়ে আমি মনে করি এসব জিনিস আমরা বেশ ভালোভাবেই করতে পারছি। ’
‘আমরা আমাদের প্রত্যাশার জায়গায় ঠিকই আছি, ভবিষ্যতের জন্য একটা দল গড়ে তোলা...বেশ সামর্থ্যবান কিছু ক্রিকেটার আছে। আমি বিশ্বাস করি সময় দিলে আমরা ভবিষ্যতে একটা ভালো টি-টোয়েন্টি দল হিসেবে গড়ে উঠবো। ’
বাংলাদেশ সময় : ১০০৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০২২
এমএইচবি