ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে উজ্জ্বল এক রাউন্ড কাটছে জাতীয় ক্রিকেট লিগে। বগুড়ায় উইকেট উৎসবে ঢাকার বিপক্ষে তরুণ পেসার মুশফিক হাসান নিয়েছেন ৮ উইকেট।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চট্টগ্রাম বিভাগের মুখোমুখি হয় স্বাগতিক সিলেট বিভাগ।
৪ উইকেটে ৩৫১ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শুরু করে সিলেট। ১৩২ রানে জাকির হাসান ও ৪৬ রানে অপরাজিত ছিলেন আসাদউল্লাহ আল গালিব। আজ ফিফটি তুলে গালিব আউট হলে ভাঙে তাদের ১১৩ রানের জুটি। ১৭৩ বলে ৭ চারে ৬৭ রান করেন তিনি।
এরপর জাকির সেঞ্চুরিকে রূপ দেন ডাবল সেঞ্চুরিতে। ২৯০ বলে ১৬ চার ২ ছক্কায় ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবলের দেখা পান জাকির। এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার শেষ পর্যন্ত ৩১৮ বলে ১৮ চার ২ ছক্কায় ২১৩ রান করে আউট হন সৈকত আলির বলে। তার বিদায়েই ৯ উইকেটে ৪৮১ রানে ইনিংস ঘোষণা করে সিলেট। চট্টগ্রামের হয়ে সর্বোচ্চ পাঁচ উইকেট পান বাঁহাতি স্পিনার হাসান মুরাদের।
জবাবে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ১ উইকেটে ৯৮ রান তুলে দিন শেষ করে চট্টগ্রাম। পিনাক ঘোষ ও পারভেজ হোসেন ইমন মিলে ৯২ রানের জুটিতে অবিচ্ছেদ্য থেকে দিন শেষ করেছেন। পিনাক ১৪১ বলে ৫ চারে ৪৯ ও ইমন ১২৯ বলে ৪ চারে ৪৫ রানে অপরাজিত আছেন। হাতে ৯ উইকেট নিয়ে চট্টগ্রাম এখনো পিছিয়ে ৩৮৩ রানে।
বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়াম ঢাকার মুখোমুখি হয়েছে রংপুর। দ্বিতীয় ইনিংসে বিনা উইকেটে ৮৮ রান তুলে প্রথম দিন শেষ করেছিল ঢাকা। ৫৪ রানে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ও ৩৩ রানে অপরাজিত ছিলেন আব্দুল মজিদ।
মুশফিক হাসানের বলে কোনো রান করার আগেই আউট হন মজিদ। ৮৮ রানেই প্রথম উইকেট হারায় ঢাকা। ৭৪ রানে থামতে হয় অঙ্কনকেও, ৮৭ বলে ১০ চার ১ ছক্কায় ইনিন্সটি সাজান তিনি। এই দুজনের বিদায়ের পর তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে ঢাকার দ্বিতীয় ইনিংসও। মুশফিক হাসান নিজেকে মেলে ধরেন পুরোপুরি।
৭৩ রান খরচায় ৮ উইকেট পান পেসার মুশফিক হাসানের। এবারের জাতীয় লিগ দিয়েই প্রথম শ্রেণির অভিষেক হওয়া মুশফিক এই ঢাকার বিপক্ষেই প্রথম রাউন্ডে নেন ৫ উইকেট। মুশফিক আগুনে পুড়ে দারুণ কিছুর আভাস দিয়েও ঢাকা ২১০ রানের বেশি লিড পায়নি।
২১১ রানের লক্ষ্য ব্যাট করতে নেমে ৩ উইকেটে ১৩৫ রান তুলে দিন শেষ করে রংপুর বিভাগ। ১১৪ বলে ৮ চারে ৬৪ রানে শুভ ও ৫৮ বলে ২৬ রানে অপরাজিত আছেন নাসির।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ০১, ২০২২
এমএইচবি/এমএইচএম