চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: সংঘর্ষ চলাকালে দেশীয় অস্ত্রের মহড়া এবং শিক্ষক-সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হওয়ার ঘটনায় প্রাথমিকভাবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের ১৫-২০ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে তদন্তের পর ব্যবস্থা নেবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
সোমবার (৫ ডিসেম্বর) বাংলানিউজকে বিষয়টি জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর এসএএম জিয়াউল ইসলাম।
এর আগে শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) রাতে বগিভিত্তিক উপ-গ্রুপের চিকা মারাকে কেন্দ্র করে চবির এএফ রহমান হলে সংঘর্ষে জড়ায় ভিএক্স ও বিজয় গ্রুপের অনুসারীরা।
এছাড়া সংঘর্ষ চলাকালে চবির এএফ রহমান হলের প্রায় অর্ধশতাধিক রুম ভাঙচুর এবং কিছু রুমের মালামাল লুটপাট করা হয়। ঘটনাস্থলে থাকা একজন সহকারী প্রক্টর ও কর্মরত সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হয় ছাত্রলীগের অনুসারীরা। এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করতে কাজ করছে প্রশাসন। ইতিমধ্যে বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজ, ছবি ও সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে প্রাথমিকভাবে ১৫ জন ছাত্রলীগ কর্মীকে শনাক্ত করা হয়েছে। তবে জড়িতদের তালিকা এবং শাস্তির বিষয়টি জানা যাবে তদন্ত প্রতিবেদন ও ডিসিপ্লিনারী কমিটির সিদ্ধান্তের পর।
এর আগে রোববার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল বডি ও পুলিশের উপস্থিতিতে চবির এএফ রহমান হলের দেওয়ালে আঁকা ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক উপ-গ্রুপগুলোর চিকা মুছে ফেলা হয়।
সহকারী প্রক্টর এসএএম জিয়াউল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, গত শুক্রবার রাতে সংঘর্ষের ঘটনায় অনেকে আহত হয়েছে। এছাড়া অনেকগুলো কক্ষ ভাঙচুর করা হয়েছে। পাশাপাশি শিক্ষক-সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হওয়ার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কাজ করেছে প্রশাসন। প্রাথমিকভাবে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ১৫-২০ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। এছাড়া জড়িত আরও অনেকে এ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারে। তদন্তসাপেক্ষে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রশাসন দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০২২
এমএ/টিসি