ঢাকা, রবিবার, ২১ আশ্বিন ১৪৩১, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০২ রবিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

জমে উঠেছে শীতের পোশাকের বেচাকেনা

সোহেল সরওয়ার, সিনিয়র ফটো করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০২২
জমে উঠেছে শীতের পোশাকের বেচাকেনা ছবি: বাংলানিউজ

চট্টগ্রাম: শীত পুরোপুরি জেঁকে বসেনি।  তবে বন্দরনগরীর জনাকীর্ণ ফুটপাতগুলোতে জমে উঠেছে শীতের পোশাকের বেচাকেনা।

বিক্রেতাদের কেউ রাস্তায় পলিথিন বিছিয়ে স্তূপ করে আবার কেউ কেউ ভ্যানগাড়িতে, ভাসমান দোকানে শীত বস্ত্রের পসরা সাজিয়ে বসেছেন।

তাদের ‘চাই ল-অ, বাছি ল-অ, একদাম-একরেট’হাঁকডাক আর ক্রেতাদের ভিড়ে মার্কেট সরগরম থাকছে বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত।

বাহারি নকশার বিভিন্ন মানের কোট, ব্লেজার, জ্যাকেট, সোয়েটার, কানটুপি, মাফলার, কার্ডিগান, শাল, ভারী ওড়না, জিনসের জ্যাকেট, হাতমোজা, পায়ের মোজা, গলাবন্ধনী, কানবন্ধনীর স্তূপ থেকে পছন্দের জিনিসটি বেছে নিতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে মানুষ। একই সঙ্গে পুরোনো লেপ-তোশক, কম্বলেরও দারুণ চাহিদা দেখা গেছে।

নগরীর নিউমার্কেটের সামনে, জুবিলি রোড, স্টেশন রোড, কেসি দে সড়ক, লালদীঘির পাড়, লয়েল রোড, বকশির হাট, আন্দরকিল্লা, আগ্রাবাদ, বন্দরটিলা, দুই নম্বর গেট, কাজীর দেউড়ি, অক্সিজেন, বহদ্দারহাট, নতুন ব্রিজসহ অলিগলিতে হাত বাড়ালেই এখন পাওয়া যাচ্ছে শীতের পোশাক।

আমদানি করা পুরোনো কাপড়ের গাইট থেকে কয়েক হাত বদল করে ফুটপাত পর্যন্ত আসছে এসব পণ্য। দামও তুলনামূলকভাবে কম। এ ছাড়া আছে স্থানীয়ভাবে তৈরি নতুন শীতের পোশাকও। বিশেষ করে বাচ্চাদের সোয়েটার, জ্যাকেট, ছেলেদের ফুলহাতা গেঞ্জি, টি-শার্ট আর মেয়েদের কার্ডিগান। নতুন হোক আর পুরোনোই হোক দর কষাকষি করেই দফারফা করছেন বেশিরভাগ ক্রেতা।

নগরী ছাড়াও শহরতলী, বিভিন্ন উপজেলা ও প্রত্যন্ত জেলার নিম্নবিত্ত এমনকি মধ্যবিত্ত শ্রেণির লোকজনও শীতের পোশাক কেনার জন্য ভিড় করছেন ফুটপাতের এসব ভাসমান দোকানে।

বেচাকেনার পাশাপাশি সমিতি, লাইটভাড়া, জায়গা ভাড়া, পাহারাদার, বড় ভাইসহ অদৃশ্য খাতে নানা অজুহাতে দফায় দফায় চাঁদাও দিতে হচ্ছে ভাসমান দোকানিদের।

বর্ষপঞ্জিতে এখনও অগ্রহায়ণ মাস। প্রকৃতিতে হিম বাতাস বইতে শুরু করেছে কয়েকদিন থেকে। সামনে শীতের মাত্রা বাড়বে। তাই সাধ্যের মধ্যে পছন্দের শীত বস্ত্রটি কিনে নিতে চট্টগ্রামের ফুটপাতজুড়ে কেনাকাটা চলছে শীতের পোশাকের।

সামর্থ্যবান পুরুষ, নারী ও তরুণীদের কাছে এখনো কাশ্মিরী আলোয়ান-শালের কদর কিন্তু রয়ে গেছে আগের মতোই। নতুন-পুরোনো শীতের পোশাকের জন্য উচ্চমধ্যবিত্ত থেকে শুরু করে সব শ্রেণির ক্রেতার পছন্দের শীর্ষে জহুর-হকার্স মার্কেট।

বরাবরের মতো এ বছরও আমদানি করা পুরানো শীতের পোশাকের পাশাপাশি নতুন ডিজাইনের পরিধেয় সামগ্রী মজুদ করেছেন দোকানিরা। তরুণ-তরুণী আর শিশু-কিশোরদের পোশাকই বেশি বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দোকানিরা।

নগরীর জহুর হকার্স থেকে শুরু করে নিউমার্কেট এলাকার ফুটপাতজুড়ে বিক্রি হওয়া শীত কাপড় ৫০ থেকে ৫০০ টাকায় এবং ছেলেদের চায়না-কোরিয়ান লেদারের জ্যাকেট, জিন্স ও মোটা কাপড়ের জ্যাকেটও মিলছে এখানে।

বিপণীকেন্দ্রের সামনে বসা নতুন পুরনো কাপড় স্তূপ করে বিক্রির রেওয়াজ রয়েছে। ‘এক দাম ৩০ টাকা’, ‘১ পিস ৪০ টাকা’এ রকম কাগজ সাঁটিয়ে দেওয়া হয়েছে অনেক দোকানে। এখানে হাতমোজা, গ্লাভস, কানটুপি, গলাবন্ধনী, মাফলার ইত্যাদি পাওয়া যাচ্ছে সুলভ মূল্যে।

বাংলাদেশ সময়: ১২০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০২২
এসএস/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।