ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চবি শিক্ষক সমিতির নেতাদের পাল্টাপাল্টি অবস্থান

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৫, ২০২৩
চবি শিক্ষক সমিতির নেতাদের পাল্টাপাল্টি অবস্থান

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: সিন্ডিকেটে শিক্ষক প্রতিনিধি রাখার দাবিতে আন্দোলন নিয়ে পাল্টাপাল্টি বিবৃতির রেশ কাটার আগেই এবার সাধারণ সভা ডাকাকে কেন্দ্র করে ফের বিপরীতমুখী অবস্থানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শিক্ষক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল হক এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক সজিব কুমার ঘোষ।  

বুধবার (৪ জানুয়ারি) চবি শিক্ষক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক আবদুল হক সাক্ষরিত এক চিঠিতে একটি সাধারণ সভা ডাকা হয়।

চিঠিতে বলা হয়, চবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদককে অনুরোধ করা সত্ত্বেও তিনি সভা আহ্বান না করায় কার্যনির্বাহী পরিষদের অধিকাংশ সদস্যের অনুরোধে সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে আমি নিজেই আগামী রোববার (৮ জানুয়ারি) দুপুর ১২টায় কার্যনির্বাহী পরিষদের একটি সাধারণ সভা আহ্বান করছি।

এদিকে সভার আলোচ্যসূচির মধ্যে রাখা হয়েছে: পূর্ববর্তী সাধারণ সভার কার্যবিবরণী নিশ্চিত করা।

গত ৩০ ডিসেম্বর সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দেওয়া একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তির প্রতিবাদ জানিয়ে সাধারণ সম্পাদকের পাল্টা সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার ফলে উদ্ভূত পরিস্থিতির ব্যাপারে আলোচনা ও সিদ্ধান্তগ্রহণ। গত ২২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদের সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহের আলোকে শিক্ষক সমিতির পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা। সমিতির বর্তমান কার্যনির্বাহী পরিষদ দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে এ পর্যন্ত বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজনসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে ব্যয় হওয়া অর্থের হিসাবসমূহ চূড়ান্ত করা।

চিঠিতে উল্লেখিত অভিযোগটি অস্বীকার করে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক সজিব কুমার ঘোষ বলেন, সমিতির সভাপতি ৪ জানুয়ারি সভা দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ৪ তারিখ আমার সমস্যা থাকায় আমি সভাটি ৮ জানুয়ারি করার অনুরোধ করেছিলাম। তাই সাড়া না দেয়ার অভিযোগটি ভুল। তাছাড়া নিয়মানুযায়ী সভার ৪৮ ঘন্টা আগে আমি নিজেই সভা আহ্বান করতাম। কিন্তু এর আগেই তিনি সভা ডেকেছেন।

শিক্ষক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল হক বলেন, নিয়মানুযায়ী সভা আহ্বানের কথা সাধারণ সম্পাদকের। আমি সাধারণ সম্পাদককে গত ১ জানুয়ারি মেইল করেছিলাম। ২ তারিখেও বিষয়টি আবার জানানো হয়। কিন্তু তিনি সাড়া দেননি। ৩ তারিখে উনার সঙ্গে ফোনে কথা হয়। ৪৮ ঘণ্টা সময় হাতে রেখে ৫ জানুয়ারি সভা ডাকার জন্য বললে তিনি জানান ৫ তারিখ থাকতে পারবেন না। অপরদিকে কার্যনির্বাহী সদস্যরা আমাকে বারবার অনুরোধ করছে সভা আহ্বানের জন্য। এদিকে ৬ এবং ৭ তারিখ ছুটির দিন হওয়ায় ৮ জানুয়ারি সভা আহ্বান করতে হয়েছে।  

এর আগে চবির সিন্ডিকেটে শিক্ষক প্রতিনিধি না থাকার বিষয়ে পাল্টাপাল্টি অবস্থান নিয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল হক ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক সজিব কুমার ঘোষ। এনিয়ে গত ৩০ ডিসেম্বর শিক্ষক সমিতির সভাপতি আব্দুল হক স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষক প্রতিনিধি ছাড়া সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হলে শীতকালীন ছুটির পর আন্দোলনের ঘোষণা দেওয়া হয়।

পরদিন ৩১ ডিসেম্বর শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক সজিব কুমার ঘোষ স্বাক্ষরিত  সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল হক সমিতির অন্যান্য নেতৃবৃন্দের সম্মতি ছাড়াই সভার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গিয়ে আন্দোলনের ঘোষণা দিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছেন। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনের হুমকিকে শিক্ষক সমিতি ও শিক্ষক সমাজের মর্যাদা ও চেতনা পরিপন্থী হিসেবেও উল্লেখ করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৫, ২০২৩
এমএ/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।