ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

দুই বোনের রহস্যজনক মৃত্যু 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২৩
দুই বোনের রহস্যজনক মৃত্যু 

চট্টগ্রাম: নগরের ইপিজেড থানাধীন বন্দরটিলা এলাকায় রাহিমা (২২) ও ফজিলা (১৯) দুই সহোদর বোনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক বোনের মৃত্যু হয়।

এরপর বিকেলে সাড়ে তিনটার দিকে আরেক বোনও মারা যান।  

রাহিমা ও ফজিলা দুইবোনই গার্মেন্টসে চাকরি করতেন।

তাদের গ্রামের বাড়ি পিরোজপুরের মটবাড়িয়া থানায়। এরমধ্যে রাহিমার বিয়ে হয়েছে। তাঁর স্বামী প্রবাসী।  

তবে মারা যাওয়া দুই বোনের স্বজনরা জানিয়েছেন,বুধবার (১৮ জানুয়ারি) রাতে ঘরে ছারপোকা মারার ওষুধ ছিটিয়ে ঘুমাতে যান দুই বোন। পরে ঘণ্টা দু'একের মধ্যে তাদের শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। পরে তাদের অপর বড় বোন এসে বন্দরটিলার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে চমেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। পরে এক বোনকে দুপুনের দিকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এর পর আরেক বোনও অসুস্থ হলে তাকেও বিকেলের দিকে ভর্তি করানোও তিনিও মারা যান।

তাদের বড় বোন নাজমা আখতার বাংলানিউজকে বলেন, রাতে খবর পেয়ে আমি তাদের বাসায় যায়। পরে দেখি দুই বোনই গুরুতর অসুস্থ। রাত পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করে সকালের দিকে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে তারা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চমেক হাসপাতালে নিয়ে যেতে পরামর্শ দেন। পরে দুপুরের দিকে ছোট বোনকে ভর্তি করালে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে। এর পরে বড় বোনও অসুস্থ হলে তাকেও ভর্তি করানো হয়। চিকিৎসক তাকেও মৃত ঘোষণা করেন।  

তাদের চাচাতো ভাই মোহাম্মদ নুরুজ্জামান। তিনিও গার্মেন্টস কর্মী। তিনি জানান, আমি খবর পেয়ে চমেকে ছুটে আসি। পরে দেখি দুই বোনেরই মৃত্যু হয়েছে। গ্রামের বাড়ি থেকে এখনও কেউ আসেনি।  

ইপিজেড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল করিম বাংলানিউজকে বলেন, দুইবোনের মৃত্যুর খবর পেয়ে থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গেছে। এখনো বিস্তারিত পাওয়া যায়নি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২৩ 
বিই/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।