ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৪ রবিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

টাকা নিয়ে বাক-বিতণ্ডায় যুবতী খুন, গ্রেফতার ১

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২৩
টাকা নিয়ে বাক-বিতণ্ডায় যুবতী খুন, গ্রেফতার ১

চট্টগ্রাম: শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের উদ্দেশ্যে এক যুবতীকে কক্সবাজারের একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার ৩ দিন পর চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার চৌধুরীহাট থেকে মো. মোস্তাফিজুর রহমান নামে ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

 

শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে র‌্যাব-৭ এর চান্দগাঁও ক্যাম্পে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মাহবুব আলম।  

গ্রেফতার মো. মোস্তাফিজুর রহমানকে (৫১), বাগেরহাট সদর উপজেলার আতাইকাঠি গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে।

 

র‌্যাব জানায়, গত বুধবার কক্সবাজার পৌর সদরের ‘সি বার্ড’ হোটেলের কক্ষ থেকে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তবে ঘটনার তিনদিনেও নিহতের পরিচয় জানা যায়নি।

পরিচয় যাচাইয়ে ওই নারীর আঙুলের ছাপ নিয়ে এনআইডি সার্ভারের সঙ্গে মেলানোর চেষ্টা করা হলে তা পাওয়া যায়নি বলে জানায় র‌্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মাহবুব।  

কেউ অভিভাবকত্ব দাবি না করায় আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলামের মাধ্যমে অজ্ঞাত হিসেবে দাফন করা হয়েছে।

কর্নেল মো. মাহবুব আলম জানান, গত মঙ্গলবার স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে মোস্তাফিজুর ওই নারীকে নিয়ে ‘সি বার্ড’ হোটেলে ওঠেন। পরে বুধবার দুপুরে কক্ষে তালা দিয়ে মোস্তাফিজুর চলে যায়। সেদিন হোটেল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে খবর পেয়ে সন্ধ্যা ৭টার দিকে কক্ষ থেকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। হোটেলের সিসিটিভির ভিডিও দেখে তাদের শনাক্ত করে র‌্যাব।

মোস্তাফিজুর ইয়াবা পাচারের কাজ করতেন জানিয়ে র‌্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মাহবুব আলম আরও জানান, মোস্তাফিজের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মাদক পরিবহনের চারটি মামলা রয়েছে। মোস্তাফিজ এর আগে পাঁচবার গ্রেফতার হয়েছে। কক্সবাজার থেকে ঢাকায় ইয়াবা পরিবহন করতো সে। তার নির্দিষ্ট কোনো পেশা নেই। জিজ্ঞাসাবাদে মোস্তাফিজ ওই নারীকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার কথা স্বীকার করে।  শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য ওই নারীকে হোটেলে নিয়ে যায় মোস্তাফিজ। হোটেলের রেজিস্ট্রারে ওই নারীর নাম লেখা হয় জেসমিন আখতার। হোটেল কক্ষে অবস্থানের সময় টাকা নিয়ে বাক-বিতণ্ডার জেরে ক্ষোভের বশে ওই নারীকে হত্যা করা হয়। মোস্তাফিজকে তল্লাশি করে তার পকেটে যৌন উত্তেজক ওষুধ পাওয়া গেছে। ঘটনার দিন সে ওই ওষুধ সেবন করেছিল। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে নখের আচড়ের দাগ রয়েছে।  

র‌্যাব-৭ চান্দগাঁও ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর মেহেদী হাসান বাংলানিউজকে বলেন, কক্সবাজারে যুবতীকে খুন করার পরে হাটহাজারী 
চৌধুরীহাট এলাকায় চলে আসে মোস্তাফিজ।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২৩ 
এমআই/টিসি
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।