ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

পর্দা নামলো চট্টগ্রামের অমর একুশে বইমেলার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৩
পর্দা নামলো চট্টগ্রামের অমর একুশে বইমেলার ছবি: বাংলানিউজ

চট্টগ্রাম: ২১ দিনব্যাপী অমর একুশে বইমেলার পর্দা নেমেছে। শেষ দিন মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) লেখক, পাঠক ও প্রকাশকের এ মিলনমেলা ছিল জমজমাট।

বিক্রিও হয়েছে প্রচুর বই।

নগরের এমএ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেসিয়াম চত্বরে বইমেলা মঞ্চে চিত্রাঙ্কনসহ সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ, অমর একুশ বইমেলা ২০২৩-এ অংশগ্রহণকারী ঢাকা ও চট্টগ্রামের প্রকাশকদের সনদ প্রদান ও সাজসজ্জায় শ্রেষ্ঠ স্টলকে পুরস্কার দেওয়া হয়।

 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আবহমান বাংলার সংস্কৃতির সঙ্গে নতুন প্রজন্মকে পরিচিত করতে হলে তাদের হাতে বই তুলে দিতে হবে। আকাশ সংস্কৃতির কবলে বইয়ের জায়গা কেড়ে নিয়েছে অনলাইন সামাজিক মাধ্যম। নতুন প্রজন্মকে গড়তে হলে আমাদের দায়িত্ব নিয়ে ইতিহাস-ঐতিহ্যের বইগুলো তাদের হাতে তুলে দিন।  

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী আগামীতে এই বইমেলাকে আরো বড় পরিসরের আয়োজনের জন্য মঞ্চনাটকসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কার্যক্রম সংযুক্ত করার পরামর্শ দেন।

সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, বই মানুষকে সংগ্রামী চেতনায় উদ্বুদ্ধ করে। আমাদের মহান ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ, প্রতিটি ঐতিহাসিক সংগ্রামে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করতে বই ভূমিকা রেখেছে। মেয়র হিসেবে বীর চট্টলাবাসীর বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশে এই বইমেলার আয়োজন করেছি আর আগামী বছর এ বইমেলার প্রাঙ্গণ আরো বড় করব। মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের পরামর্শ অনুসারে আগামী বছর বইমেলায়  মঞ্চনাটকসহ সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের পরিধি বাড়াবো।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সংসদ সদস্য একুশে পদকপ্রাপ্ত শিল্পী সুবর্ণা মুস্তাফা বলেন, বইয়ের চোখে ইতিহাস দেখেন পাঠকরা। বঙ্গবন্ধুর লেখা অসমাপ্ত আত্মজীবনী, কারাগারের রোজনামজা, আমার দেখা নয়াচীনের মতো বইগুলোর মাধ্যমে পাঠক বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানতে পারছে, বুুঝতে পারছে তৎকালীন ঐতিহাসিক বাস্তবতা।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম। মেলার আয়োজনের সঙ্গে সম্পৃক্ত সবাইকে ধন্যবাদ জানান বইমেলার আহ্বায়ক কাউন্সিলর নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু। উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (আইসিটি) আবদুল মালেক, কাউন্সিলর ছালেহ আহম্মদ চৌধূরী, মোঃ আবদুস সালাম মাসুম, পুলক খাস্তগীর, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর  শাহীন আকতার রোজী, রুমকি সেনগুপ্ত, হুরে আরা বেগম। আরো উপস্থিত ছিলেন চসিক সচিব খালেদ মাহমুদ, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার, মেয়রের একান্ত সচিব ও প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবুল হাশেম, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম, শিক্ষা কর্মকর্তা উজালা রানী চাকমা, উপ-সচিব আশেক রসুল চৌধুরী (টিপু), জনসংযোগ ও প্রটোকল কর্মকর্তা আজিজ আহমদ, সৃজনশীল প্রকাশনা পরিষদের সভাপতি মহিউদ্দিন শাহ আলম নিপু, সাধারণ সম্পাদক আলী প্রয়াস।

এবারের মেলার অনুষ্ঠানমালায় ছিল নজরুল দিবস, মাতৃভাষা দিবস-২১ ফেব্রুয়ারি, লোক উৎসব, রবীন্দ্র উৎসব, তারুণ্য উৎসব, নারী উৎসব, বসন্ত উৎসব, মরমি উৎসব, আবৃত্তি উৎসব, নৃগোষ্ঠী উৎসব, লেখক সমাবেশ, যুব উৎসব, শিশু উৎসব, পেশাজীবী সমাবেশ, মুক্তিযুদ্ধ উৎসব, ছড়া উৎসব, কুইজ প্রতিযোগিতা, চাটগাঁ উৎসব, স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ও আলোকচিত্র প্রদর্শনী, বইমেলার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৩
এআর/টিসি
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।