চট্টগ্রাম: গ্রিন, ক্লিন ও হেলদি সিটি হিসেবে চট্টগ্রামকে গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব দিয়ে মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, আন্তঃকর্তৃপক্ষ সমন্বয় ছাড়া চট্টগ্রাম মহানগরের টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়। নগরের পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় একটি টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ভূমিকা অপরিসীম।
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (চউক) কর্তৃক ‘চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন মাস্টারপ্ল্যান প্রকল্প’র আলোকে ‘মহানগরের উন্নয়ন কর্মপরিকল্পনার বাস্তবায়ন ও অগ্রগতি’ বিষয়ে রোববার (২৪ নভেম্বর) মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মেয়র বলেন, নগরের মূল সমস্যা জলাবদ্ধতা। জলাবদ্ধতা নিরসনে জনসচেতনতা প্রয়োজন। আমি বিদেশে গেলে শহরটা পরিষ্কার রাখার জন্য চেষ্টা করি কিন্তু একই মানুষ আমি দেশে আসলে তা করছি না। এই জন্য একটা জনসচেতনতা বৃদ্ধির প্রোগ্রাম আমি এখন স্কুল লেভেল থেকে শুরু করছি। গতকাল আমি চট্টগ্রামের চাইল্ড স্পেশালিস্টদের একটি দলের সাথে কথা বলেছি এবং তারা ইন্টারেস্টেড এই প্রোগ্র্রাম চালানোর জন্য। আমরা শিশুদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে পারলে তা ধীরে ধীরে সমাজে বড় প্রভাব ফেলবে।
চউক চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. নুরুল করিমের সভাপতিত্বে সভায় সিডিএ বোর্ড সদস্য জাহিদুল করিম কচি, প্রকৌশলী মানজারে খোরশেদ আলম, অ্যাডভোকেট সৈয়দ কুদরত আলী, মো. নজরুল ইসলাম, স্থপতি সৈয়দা জারিনা হোসেন ও স্থপতি ফারুক আহমেদ, চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবুল কাশেম এবং চউক সচিব রবীন্দ্র চাকমা, চউক প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস উপস্থিত ছিলেন।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন মাস্টারপ্ল্যান প্রকল্পের ওপর তথ্যচিত্র উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক মো. আবু ঈসা আনছারী।
চট্টগ্রাম শহরের খাল সংস্কার ও জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের পরিচালক প্রকৌশলী আহম্মদ মঈনুদ্দিন জলাবদ্ধতা নিরসনে চলমান কার্যক্রম বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করতে, খাল পরিষ্কারের ‘টেকসই কার্যক্রম’ নিয়ে আলোচনা করেন এবং আবর্জনা ব্যবস্থাপনা ও খাল পুনঃভরাট প্রতিরোধে চসিকের সহযোগিতা কামনা করেন।
স্থপতি সৈয়দা জারিনা হোসেন মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের সাথে সাথে তার সঠিক বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব দেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০২৪
এআর/পিডি/টিসি