ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

শিশু সাহিত্যিক মোদাচ্ছের আলী’র গ্রন্থ ‘জয় বাংলা’

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪২ ঘণ্টা, মার্চ ১, ২০২৩
শিশু সাহিত্যিক মোদাচ্ছের আলী’র গ্রন্থ ‘জয় বাংলা’ ...

চট্টগ্রাম: মা-মাটি, মাতৃভাষা, মাতৃভূমি ও মানুষকে নিয়ে লিখেন ছড়াকার, শিশু সাহিত্যিক আ.ফ.ম. মোদাচ্ছের আলী। বই মেলায় প্রকাশিত জয় বাংলা গ্রন্থটিতে লেখক ১৯৭১ সালের মার্চ মাসে ৮ বছর বয়সে চন্দনপুরায় মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যা দেখেছেন তা গল্পের মাধ্যমে শিশুদের জন্য তুলে এনেছেন।

 

গ্রন্থ সম্পর্কে লেখক বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় পুরো মার্চ মাস চট্টগ্রাম স্বাধীন ছিল। সেই সময় মুসলিম লীগ নেতাদের কথা, বঙ্গবন্ধুর ভাষণ, ২৬ মার্চ বেতার কেন্দ্রে স্বাধীনতার ঘোষণা এই প্রজন্মের শিশু কিশোরদের জন্য তুলে আনা হয়েছে।

অল্প সময় নিয়ে গল্পটি পড়লে ১৯৭১ সালের উত্তাল মার্চ সম্পর্কে শিশু-কিশোররা ধারণা লাভ করতে পারবে।  

এই গ্রন্থের প্রচ্ছদ এঁকেছেন উত্তম সেন। প্রকাশক চন্দ্রবিন্দু। মূল্য: ১২০ টাকা। উৎসর্গ করা হয়েছে চসিক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ রেজাউল করিম চৌধুরীকে।

আ.ফ.ম. মোদাচ্ছের আলীর জন্ম ১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দে চট্টগ্রাম শহরে। গ্রামের বাড়ি পটিয়া উপজেলার বরলিয়া গ্রামের ঐতিহ্যবাহী ‘মিয়া বাড়ি’। পিতা মরহুম নওশের আলী (এম. এ. ১৯৩১)।  

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর লেখকের ছাত্রজীবনে স্কুলের ম্যাগাজিনে প্রথম লেখা প্রকাশ। ৮০'র দশক থেকে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও সাময়িকীতে লিখে চলেছেন। মা, মাটি, মাতৃভাষা ও মানুষ তাঁর লেখার মূল উপজীব্য। গ্রুপ থিয়েটার আন্দোলনের সাথে জড়িত ছিলেন। চট্টগ্রামের গণায়ন নাট্য সম্প্রদায় দিয়ে যাত্রা শুরু। মঞ্চ ও পথ নাটকে অভিনয় করেছেন।  

পরবর্তীতে ঢাকায় ৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের সময় গঠিত ‘নাট্যকেন্দ্র’র প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য। ছড়াকার সংসদ চট্টগ্রামের তিনি প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক। সম্পাদনা করেছেন শিশুসাহিত্য পত্রিকাসহ বিভিন্ন প্রকাশনা। চট্টগ্রামে সিআরবি রক্ষা আন্দোলনে তাঁর সম্পাদিত ‘এই হেরিটেজ রক্তে কেনা নেত্রী মোদের শেখ হাসিনা’ একটি নন্দিত ডকুমেন্টারি । তাঁর লেখা প্রকাশিত গ্রন্থ ১৭টি।  

বাংলাদেশ সময়: ১১৩০ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০২৩
এসি/টিসি 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।