ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াকরণে বাংলাদেশ ভালো অবস্থান করতে পারবে: শিল্পমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৬ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০২৩
জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াকরণে বাংলাদেশ ভালো অবস্থান করতে পারবে: শিল্পমন্ত্রী বক্তব্য দেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।

চট্টগ্রাম: বাংলাদেশ এখন হংকং কনভেনশন-২০০৯ অনুসমর্থন বাস্তবায়নে কাজ করছে। এ লক্ষ্যে জাপান ও নরওয়ের রাষ্ট্রদূত যৌথভাবে সীতাকুণ্ড পরিদর্শন করে তাদের মতামত উপস্থাপন করবেন।

গার্মেন্টস ও অন্যান্য শিল্পের মতো এ শিল্পের বাজারও প্রস্তুত রয়েছে। আমাদের প্রশিক্ষিত জনবল রয়েছে এবং এ ক্ষেত্রে নরওয়ে আমাদের কর্মীদের আরও প্রশিক্ষণ দিয়ে সাহায্য করবে বলে আশ্বস্ত করেছে।
আগামী ২-৩ বছর যদি আমরা কাজ করে যাই, ভবিষ্যতে জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াকরণ শিল্পে বাংলাদেশ বিশ্ব বাজারে ভালো অবস্থান করে নিতে পারবে।

শনিবার (১১ মার্চ) নগরের সার্কিট হাউসের সম্মেলন কক্ষে জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াকরণ শিল্পের উন্নয়নবিষয়ক মতবিনিময় সভায় শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বাংলাদেশের অর্থনীতির লাইফ-লাইন। সীতাকুণ্ড শিপ-ইয়ার্ডে যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। তাই জাহাজ পুনঃনির্মাণ শিল্প পরিদর্শনের জন্য জাপান ও নরওয়ের রাষ্ট্রদূত চট্টগ্রামে এসেছেন। এ শিল্পে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে একটা পর্যায়ে পৌঁছেছে। অন্যান্য শিল্পের মতো এ শিল্পেও স্বীকৃতি অর্জনের জন্য আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। এ শিল্পের উন্নতি নির্ভর করে এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির ওপর।

বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে অন্যতম প্রধান জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াকারী দেশ, বাংলাদেশে ১৬৭টি জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াকরণ ইয়ার্ড রয়েছে যা চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলাতে অবস্থিত। এখানে বার্ষিক জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াকরণ সক্ষমতা ১০ মিলিয়ন মেট্রিক টনের বেশি। বার্ষিক জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াকরণ শিল্পের গড় প্রবৃদ্ধি প্রায় ১৪ শতাংশ। দেশের সামগ্রিক আয়রন চাহিদার ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ আসে জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াকরণ হতে। এ খাত থেকে আয় হয় ৮০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি। সরকারের রাজস্ব আয় হয় ১০০ থেকে ১২০ মিলিয়ন ডলার। এ শিল্পে প্রত্যক্ষভাবে ৩০ থেকে ৫০ হাজার মানুষ নিয়োজিত এবং পরোক্ষভাবে প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার মানুষ নির্ভরশীল। এ শিল্পের ওপর ৩ শতাধিক রি-রোলিং স্টিল মিল নির্ভরশীল। দেশের সামগ্রিক টেকসই উন্নয়নে এ শিল্প ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। কাজেই দেশের শিল্প উন্নয়নের স্বার্থে এ শিল্পকে টিকিয়ে রাখা অপরিহার্য।

শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব জাকিয়া সুলতানার সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত H.E. Mr. IWAMA Kiminori, Charge d’affaires a.i. Royal Norwegian Embassy in Bangladesh Ms Silje Fines Wannebo, শিল্প মন্ত্রণালয়ের বিএসবিআরবির ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) প্রকৌশলী শেখ ফয়েজুল আমীন, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার কামাল পাশা, জেলাপ্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, শিপ ব্রেকিং অ্যাসোসিয়েশনের মালিকরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০২৩
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।