ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

৯০ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি পণ্য হ্যান্ডলিংয়ে সক্ষম চট্টগ্রাম বন্দর

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০২৩
৯০ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি পণ্য হ্যান্ডলিংয়ে সক্ষম চট্টগ্রাম বন্দর ...

চট্টগ্রাম: ১৮টি কি গ্যান্ট্রি ক্রেনসহ আধুনিক কনটেইনার হ্যান্ডলিং ইক্যুইপমেন্ট সংযোজন, অটোমেশন, ইয়ার্ড সম্প্রসারণের কারণে চট্টগ্রাম বন্দরে এখন ৯০ বিলিয়ন ডলার রফতানি পণ্য হ্যান্ডলিংয়ের সক্ষমতা রয়েছে বলে জানিয়েছেন বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান।  

সোমবার (১৩ মার্চ) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী স্বপ্ন দেখেন আমাদের এ বন্দরকে রিজিওনাল হাবে পরিণত করবেন। মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরে ১৮ মিটার ড্রাফটের জাহাজ ভিড়বে।

যা শুধু দেশের নয়, এ অঞ্চলের অর্থনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে।  

বিশ্বে ইউক্রেনের যুদ্ধের প্রভাব পড়ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ মুহূর্তে বন্দরে ২৩ হাজার টিইইউস কনটেইনারের জায়গা খালি আছে। আমাদের ইয়ার্ড স্পেস ও হ্যান্ডলিং ইক্যুইপমেন্ট, বহরের সার্ভিস ভ্যাসেল বেড়েছে। কোভিড পিরিয়ডে অনেক টাগ যুক্ত হয়েছে। এখন ৫৫ হাজার টিইইউস কনটেইনার ধারণক্ষমতা আছে আমাদের। বন্দরে যন্ত্রপাতির স্বল্পতা নেই। আমাদের ফ্লিটে কিছু অতিরিক্ত ইক্যুইপমেন্ট রেখেছি, যাতে কোনোটি নষ্ট হলে দ্রুত রিপ্লেস করতে পারি। ২০১৫ সালে মোট ইক্যুইপমেন্ট ছিল ৭৭টি, চারটি কি গ্যান্ট্রি ক্রেন ছিল। এখন দুই শতাধিক ইক্যুইপমেন্ট, কি গ্যান্ট্রি ক্রেন আছে ১৮টি। আগে তিন-চার দিন জাহাজ রিলিজ করতে সময় লাগত, এখন ৩৬-৪৮ ঘণ্টায় জাহাজ রিলিজ করতে পারছি। আন্তর্জাতিক যেকোনো বন্দরের সঙ্গে এখন আমরা প্রতিযোগিতা করতে পারি।

২০১০ সালের চট্টগ্রাম বন্দর এবং ২০২৩ সালের চট্টগ্রাম বন্দর এক নয়। এখন এটি আধুনিক ও সুশৃঙ্খল বন্দর। বিশ্ব যখন স্থবির ছিল কোভিডে আমরা তখন ২৪ ঘণ্টা ৭ দিন কাজ করেছি। দশ বছরের হিসাবে দেখবেন ১০-১২ শতাংশ গড় প্রবৃদ্ধি আমাদের। সময়ের সঙ্গে আমরা সক্ষমতা বাড়িয়েছি। পিসিটির কাজ শেষ। অ্যাডভাইজার নিয়োগ হয়েছে। বারবার তাগাদা দিচ্ছি।  

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, মাঝখানে কিছু জেটি খালি গেছে। আজ সব জেটিতে জাহাজ আছে। কনটেইনার জাহাজ রেগুলার আসছে এখন। ইতিমধ্যে অনেক এলসি খোলা হয়েছে। আগামী মাসে কনটেইনার ফ্লো বাড়বে বলে আশা করি। বন্দরে খালি কনটেইনার বেশি হলে আমরা ফোর্সড শিপমেন্ট করি। একটি খালি কনটেইনার শিপমেন্ট করা এবং একটি লোড কনটেইনার শিপমেন্ট করা আমাদের কাছে একই। রেভিনিউ এবং হ্যান্ডলিংয়ের কোয়ান্টিটি একই। বন্দরের বর্তমান সক্ষমতায় আমরা ৪ দশমিক ৫ মিলিয়ন টিইইউস হ্যান্ডলিং করতে পারবো, ৯০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করতে পারবো। পিসিটিতে দশমিক ৫ মিলিয়ন টিইইউস যুক্ত হবে। বে টার্মিনালে ৪ দশমিক ৫ মিলিয়ন টিইইউস যুক্ত হবে। মাতারবাড়ীতে ৪ দশমিক ৫ মিলিয়ন টিইইউস যুক্ত হবে। ১৪ মিলিয়নের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারব আমরা। আমাদের বন্দরকে আমরা সাব রিজিওনাল হাব করার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছি। সরকার আমাদের সব ধরনের সহায়তা দিচ্ছে।   

মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি সালাহউদ্দিন মো. রেজা, সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক, যুগ্ম সম্পাদক শহীদুল্লাহ শাহরিয়ার, কার্যকরী সদস্য জসিম চৌধুরী সবুজ ও মোয়াজ্জেমুল হক।

উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রকৌশল) কমডোর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, সদস্য (হারবার অ্যান্ড মেরিন) কমডোর এম ফজলার রহমান, সদস্য (অর্থ) মোহাম্মদ শহীদুল আলম, সচিব মো. ওমর ফারুক, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের অর্থ সম্পাদক রাশেদ মাহমুদ, সমাজসেবা ও আপ্যায়ন সম্পাদক আল রাহমান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক খোরশেদুল আলম শামীম, কার্যকরী সদস্য মো. আইয়ুব আলী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০২৩
এআর/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।