ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

৯ দিন ধরে ব্যবসায়ী নিখোঁজ, ফিরে পেতে পরিবারের আকুতি 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০২৩
৯ দিন ধরে ব্যবসায়ী নিখোঁজ, ফিরে পেতে পরিবারের আকুতি  ...

চট্টগ্রাম: নগরের আকবরশাহ এলাকার মো. রহিম উল্লাহ (৪৫) নামে এক ব্যবসায়ীকে গত নয় দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন। এ ঘটনায় নগরের  আকবরশাহ ও পাঁচলাইশ থানায় সাধারণ ডায়েরি হলেও পুলিশ তাকে খুঁজে বের করতে কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছে নিখোঁজ বক্তির পরিবার।

মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন নিখোঁজ রহিম উল্লাহর স্ত্রী ফারজানা রহমান।  

ফারজানা রহমান বলেন, আমার স্বামী মো. রহিম উল্লাহ দীর্ঘ ২০ বছর যাবত আকবর শাহ পাকা রাস্তার মাথা এলাকায় মেসার্স রহিম ডিপার্টমেন্টাল স্টোর পরিচালনা করে আসছেন।

গত নয় দিন ধরে আমার স্বামীর কোনো খোঁজ পাচ্ছি না। পুলিশের কাছে গিয়েছি, কিন্তু তাদের তেমন কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ দেখছি না। আমি আমার স্বামীকে ফেরত চাই।

গত ৫ মার্চ দুপুর ১২টার দিকে তার সঙ্গে সর্বশেষ কথা হয় ফারজানার। এর পর থেকে রহিম উল্লাহর ব্যবহৃত দুইটি নাম্বার বন্ধ রয়েছে।  

ফারজানা রহমান বলেন, প্রতিদিন দুপুর ২টা থেকে ৩টার মধ্যে বাসায় খেতে আসেন রহিম উল্লাহ। কখনও না আসলে তিনি আমাকে ফোনে জানিয়ে দেন। কিন্তু ৫ মার্চ দুপুরে তিনি বাসায় আসেননি। আমি তার ব্যবহৃত দুইটি নাম্বারে ফোন করলেও নাম্বার দুইটি বন্ধ পাই। আমি মনে করেছি হয়তো কোথাও জরুরি কাজে গিয়েছেন এবং মোবাইলে চার্জ নেই। বিকেল ৪টার দিকে আমার স্বামীর ভাগিনা মোহাম্মদ আরিফুল হক যিনি দোকান পরিচালনা করেন তিনি আমাকে ফোন করে জানান, তিনিও রহিমের নাম্বার বন্ধ পাচ্ছেন। রাত ১০ টার দিকে আরিফ দোকান বন্ধ করে বাসায় চাবি দিতে আসলে তখনও রহিম বাসায় ফেরেননি।

তিনি আরও বলেন, গত ৬ মার্চ আমরা আমরা আকবরশাহ থানায় যাই এবং পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করি। আকবরশাহ থানায় আমি একটি নিখোঁজ ডায়েরি করি। আকবরশাহ থানা পুলিশ মোবাইল লোকেশন ট্র্যাকিং করে আমাদেরকে জানায়, আমার স্বামী রহিম উল্লাহর সর্বশেষ অবস্থান ছিল পাঁচলাইশ থানার সিএসসিআর হাসপাতালে। আমার স্বামী সিএসসিআর হাসপাতালে একজন ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা করাতেন। পরে নিশ্চিত হওয়ার জন্য সিএসসিআর হাসপাতালে ডাক্তারের সহকারী সুজনের কাছে যাই এবং সুজন আমাদের নিশ্চিত করে ডাক্তার দেখানোর বিষয়ে কথা বলার জন্য আমার স্বামী রহিম উল্লাহ সিএসসিআর হাসপাতালে গিয়েছিলেন এবং কথা বলে তিনি বের হয়ে গেছেন।

ফারজানা রহমান বলেন, পরে আমরা প্রবর্তক মোড়সহ বিভিন্ন লোকেশনের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে আমার স্বামী রহিম উল্লাহকে সনাক্ত করি। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে স্বামী রহিম উল্লাহ প্রবর্তক মোড় থেকে মিমি সুপার মার্কেট অতিক্রম করে ২ নম্বর গেইটের দিকে হেঁটে যাচ্ছেন। এর পর আর কোনো ফুটেজে তাকে আমরা শনাক্ত করতে পারিনি।

এ বিষয়ে আকবরশাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ওয়ালি উদ্দিন আকবর বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের থানা এলাকা থেকে নিখোঁজ হয়নি। সর্বশেষ লোকেশন ছিল পাঁচলাইশ থানায়।  

পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাদিকুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, মো. রহিম উল্লাহ নিজে আত্মগোপনে চলে গেছে না অপহরণ করা হয়েছে,  সবকিছু মাথায় রেখে তদন্ত চলছে।  

জিডির তদন্ত কর্মকর্তা পাঁচলাইশ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) লুৎফর রহমান সোহেল বাংলানিউজকে বলেন, মো. রহিম উল্লাহ নিখোঁজের জিডির তদন্ত চলছে। এখনো পর্যন্ত তার অবস্থান শনাক্ত করা যায়নি।  আমাদের তদন্ত  চলমান রয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫২০ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০২৩
এমআই/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।