ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ওয়ার্ডবয়ের হাতে টাকা গুঁজে দিলেই মিলে সেবা 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩০২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০২৩
ওয়ার্ডবয়ের হাতে টাকা গুঁজে দিলেই মিলে সেবা 

চট্টগ্রাম: বুধবার রাত ১টা। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে চলছে অপারেশন।

বিভিন্ন দুর্ঘটনায় আহত রোগীরা চিকিৎসা নেনে এ ওয়ার্ডে। অপেক্ষমান কক্ষে রোগীর লম্বা সিরিয়াল।
তাতে কিছু যায় আসে না কারো। কিন্তু ওয়ার্ডবয়ের হাতে টাকা গুঁজে দিলেই যেন সব অপেক্ষার অবসান।

চমেক হাসপাতালে ২৪ নাম্বার সার্জারি ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা মিলে এমন চিত্র। যা ধরা পরে বাংলানিউজের প্রতিবেদকের ক্যামেরায়। রোগীকে আগে অপারেশন টেবিলে তুলতে এক ওয়ার্ডবয় আলোচনা করছেন স্বজনদের সঙ্গে। পরে অনেক দরকষাকষির পর আগে অপারেশনে নিতে রাজি হয় ওই ওয়ার্ডবয়। ঘণ্টা খানেক পর সার্জারি শেষে রোগীকে নিয়ে হাজির ওই ওয়ার্ডবয়। ছাড়ার আগে চাহিদা অনুযায়ী দিতে হয় টাকা।

শুধু সার্জারি ওয়ার্ডে নয়, টাকা ছাড়া যেন কোনো কাজই হয়না এখানে। যার প্রমাণ মেলে হাসপাতালের গাইনী ওয়ার্ডে। এ ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন প্রসূতি মা ও নবজাতকের কাছে যাওয়াই যেন দূরহ স্বজনদের জন্য। প্রতিটি গেইটে মোতায়েন আছে পাহারা। কিন্তু যত কঠিন বাধাই থাকুক না কেন, টাকার কাছে হার মানতে বাধ্য। হাতে টাকা দিতেই খুলে যায় দরজার লোহকপাট।  

ওয়ার্ডবয় আনসারের টাকা নেওয়ার ঘটনা এ হাসপাতালে নতুন নয়। তবুও যেন কিছুই করার নেই কারো। মাঝে মধ্যে দালালের বিরুদ্ধে পুলিশি অভিযান চালালেও ওয়ার্ডবয় আনসারদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাই নেওয়া হয় না।

রোগীর স্বজনরা বলছেন, হাসপাতালে রোগী নিয়ে আসাটাই যেন অপরাধ। সব জায়গায় টাকা ছাড়া কোনো কাজই হয় না। জরুরি বিভাগে প্রবেশের পর থেকে হুইল চেয়ার নিলে আয়া ওয়ার্ডবয়দের টাকা দিতে হয়। বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে রোগী আনা নেওয়ার জন্য ওয়ার্ডদের টাকা দিতে হয়। এছাড়া ওয়ার্ডে প্রবেশ করতে আনসার সদস্যদের টাকা দিতে হয়। সঙ্গে দালালের উৎপাত তো আছেই।

এ বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনো বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।  

বাংলাদেশ সময়: ০২৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০২৩
এমআর/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।