ঢাকা, শনিবার, ৬ পৌষ ১৪৩১, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

কথা কাটাকাটির জেরে নয়াবাজারে নৈশপ্রহরীকে হত্যা, গ্রেফতার ৪

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৬ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০২৩
কথা কাটাকাটির জেরে নয়াবাজারে নৈশপ্রহরীকে হত্যা, গ্রেফতার ৪ গ্রেফতার ৪ আসামি

চট্টগ্রাম: নগরের পাহাড়তলী থানার নয়াবাজার এলাকায় নৈশপ্রহরী আজাদুর রহমানকে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় জড়িত আবু তাহের রাজীবসহ চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।  

সোমবার (২৯ মে) রাঙামাটি জেলার কোতয়ালী থানা একটি আবাসিক হোটেল থেকে ৩ জন ও নগরের কদমতলী বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে এক জনকে গ্রেফতার করা হয়।

 

গ্রেফতাররা হলেন, আবু তাহের রাজীব (২৩), দেলোয়ার হোসেন জয় (২৭), মো. রায়হান সজীব (২২) ও আবুল হাসনাত রানা (৩০)।  

র‌্যাব জানিয়েছেন, গত ২৮ মে দিবাগত রাত সাড়ে বারটার দিকে একব্যক্তি নগরের নয়াবাজার এলাকার একটি কারখানার গেইটের সামনে প্রশ্রাব করলে কারখানার নৈশপ্রহরী আজাদুর রহমানের বড় ভাই মফিজ তাকে বাধা দেন।

এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই ব্যাক্তি মফিজকে বলে, ‘এটা সরকারি জায়গা তুই বাধা দেওয়ার কে’ এই বলে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে আসামি আবু তাহের রাজীব, ওসমান, আবুল হাসান জায়গায় এসে কথা কাটাকাটিতে লিপ্ত হয়। বড় ভাইয়ের সঙ্গে কথা কাটাকাটির শব্দ শুনে আজাদুর রহমান ঘটনাস্থলে গেলে তার সঙ্গেও কথা কাটাকাটি এবং একপর্যায়ে হাতাহাতি হয়। পরবর্তীতে আসামিরা দেখে নিবে বলে হুমকি দিয়ে চলে যায়। পরে ভোর পৌনে পাঁচটার দিকে আজাদুর রহমান দোকান থেকে নাস্তা আনার জন্য বাসা হতে বের হয়। তিনি নগরের পাহাড়তলী থানার নয়াবাজার পৌছালে আসামিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে এলোপাতাড়ি পেটে, পিঠে ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। ছুরিকাঘাতের ফলে আজাদের পেটের ভুরি বের হয়ে যায়। চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় আজাদের স্ত্রী বাদী হয়ে নগরের পাহাড়তলী থানায় ৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৩ থেকে ৪ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো.নুরুল আবছার জানান, হত্যার পর পরও আসামিরা গ্রেফতার এড়াতে এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে চলে যায়। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে রাঙামাটি জেলার কোতয়ালী থানার একটি আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে মামলা দায়েরের ১৫ ঘণ্টার মধ্যে আবু তাহের রাজীব, দেলোয়ার হোসেন জয়, মো. রায়হান সজীবকে গ্রেফতার করা হয়। পরে আসামিদের তথ্যের ভিত্তিতে নগরের কদমতলী বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে আবুল হাসনাত রানাকে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা আজাদুর রহমানকে হত্যার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিল বলে স্বীকার করেছে।   

তিনি আরও বলেন, আজাদুর রহমানকে হাসপাতালে নেয়ার পথে মুমূর্ষ অবস্থায় তার ভাতিজা তারেকুর রহমানের কাছে তার ওপর হামলাকারীদের নাম প্রকাশ করেন।

গ্রেফতার আসামিদের পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০২৩
এমআই/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।