ঢাকা, রবিবার, ২১ আশ্বিন ১৪৩১, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০২ রবিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চবি লেখক ফোরামের প্রশিক্ষণ কর্মশালা

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৫ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০২৩
চবি লেখক ফোরামের প্রশিক্ষণ কর্মশালা ...

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: বাংলাদেশ তরুণ লেখক ফোরাম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখার মাসব্যাপী লেখালেখি বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপনী ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।  

সোমবার (১২ জুন) দুপুর ১২টায় চবির সমাজবিজ্ঞান অনুষদ মিলনায়তনে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।

 

সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মো. মুরাদ হোসেন ও তাওহীদা মাহমুদ আরিয়ানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ফোরামের সভাপতি আকিজ মাহমুদ।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সিরাজ উদ-দৌল্লাহ, লেখক ফোরামের উপদেষ্টা ও বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শেখ সাদী, ক্রিমিনোলজি এন্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের সভাপতি মো. সাখাওয়াত হোসেন।

আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে ছিলেন চবি লেখক ফোরামের উপদেষ্টা অলিউর রহমান, রেজাউল করিম সিকদার ফাউন্ডেশন এর নির্বাহী পরিচালক জাহিদুল করিম সিকদার বাপ্পি এবং রোটারেক্ট জেলা সংগঠনের সচিব ওয়াহেদ মুরাদ।

অনুষ্ঠানে মূল আলোচক ছিলেন বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখক ও গবেষক মোহাম্মদ শামসুল হক, র‍্যাংকন রিয়েল এস্টেট এন্ড সি ফিসিং ডিভিশন এর সিইও তানভীর শাহরিয়ার রিমন, গ্লোবাল এন্টারপ্রেনারশিপ নেটওয়ার্ক এর কান্ট্রি ডিরেক্টর কেএম হাসান রিপন এবং ভারতের অ্যাডামস বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. উজ্জ্বল আনু চৌধুরী।  

তানভীর শাহরিয়ার রিমন বলেন, লেখালেখি একটি অসাধারণ দক্ষতা। তবে এটা চর্চার বিষয়। চর্চার মাধ্যমেই এ দক্ষতা বাড়ে। আমি অনেকবছর ধরে লেখালেখির সঙ্গে যুক্ত। বিভিন্ন পত্রিকা, ম্যাগাজিনে আমি লিখেছি। শুধুমাত্র চর্চা অব্যাহত রাখায় আমার বই বেস্টসেলারের তালিকায় স্থান পায়।  

কেএম রিপন হাসান বলেন, তরুণদের উচিৎ সৃজনশীল কাজে যুক্ত থাকা। যারা ভাবছেন চ্যাট জিপিটি এসে তরুণদের সৃজনশীল কাজের ক্ষেত্র কমিয়ে দিচ্ছে, তারা ভুল ভাবছেন। গুগল আসার পরও আমাদের ধারণা ছিল এটি বিশ্বকে সংকট ফেলবে। অথচ গুগল ছাড়া এখন আমরা কিছু চিন্তা করতে পারি না। পরিবার থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বড় ভুমিকা পালন করা যায় লেখালেখির মাধ্যমে। সমাজে সচেতনতা বাড়াতে লেখার ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার পরামর্শ দেন তিনি।

এর আগে চলতি বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০ মার্চ পর্যন্ত চলে মাসব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা। ১৫ জুন সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিক সমাপনী হয়।  

অনুষ্ঠানে বছরের সেরা লেখক ক্যাটারিতে ৩ জন, সেরা সংগঠক ৩ জন, বিদায়ীদের সংবর্ধনা ৩ জন, কার্যনির্বাহী কমিটি ১৫ জন, মাসিক সেরা লেখক ৩০ জন, অরগানাইজার অ্যাওয়ার্ড ৩ জন, কর্মশালায় প্রশিক্ষণার্থী ৩০০ জন ও আমন্ত্রিত অতিথিদের ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০২৩
এমএ/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।